#কলকাতা: করোনা অতিমারী আমাদের অনেক কিছুই শিখিয়েছে। নভেল করোনা ভাইরাসকে নিয়ে কতরকমের জাল জোচ্চুরি! ভুয়ো ভ্যাকসিন, ভুয়া চিকিৎসক,ভুয়া আইপিএস, ভুয়া আইপিএস। আর এবার ভুয়া পুলিশ। নতুন কায়দায় আবার পথচারী, বাইক চালক, গাড়িচালক, বাসের যাত্রী, যাঁরা মাস্ক পরেননি, তাঁদের থেকে জরিমানা স্বরূপ টাকা আদায়।
শনিবার দুপুরে কলকাতা ফোর্ট উইলিয়াম এবং লেডি ডাফরিন রোডের সংযোগস্থলে সিভিক ভলেন্টিয়ার-এর পোশাক পরে এক ব্যক্তির সে কী হম্বিতম্বি! মাস্ক ঠিকমতো না পরা বা মাস্ক না থাকলেই হজরিমানা আপনাকে দিতেই হবে। পথচারীদের কেউ যদি মাস্ক না পরে থাকেন তবে প্রথমে তাঁকে আটক করার হুমকি, পরে কাউকে হাজার টাকা, কাউকে আবার ৫০০ টাকা জরিমানা করার কথা বলছেন।
এরপর দর কষাকষি করে কারোর থেকে ১০০ টাকা, কারোর থেকে ২০০, কারোর থেকে আবার ৫০০ টাকাও নিচ্ছে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার-এর পোশাক পরিহিত ওই ব্যক্তি।
বিপত্তি বাঁধে বেলা ২টো নাগাদ। এক বাইক চালক যুবককে মাস্ক না পরায় সিগনালে আটকায় ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার-এর পোশাক পরিহিত ব্যক্তি। তাঁর কাছে ফাইন চায়। তবে ওই বাইক চালক যুবক বলে ফাইন দিতে তিনি রাজি, তবে তাঁর রসিদ চাই। এরপরই শুরু হয় ঝামেলা।
আরও পড়ুন- বিএসএফ-এর ক্ষমতাবৃদ্ধি, রাজ্য আইন আনলে তার ভবিষ্যৎ কী
আশেপাশের আরও কয়েকজন পথচারীও এসে একই দাবি তোলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট ঘটনাস্থলে আসলে তাঁর ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার এর পোশাক পরা ব্যক্তিকে দেখে সন্দেহ হয়। তার পরিচয় জানতে চাইলে ওই ব্যক্তি বলেন, তিনিও পুলিশের কর্মী। এর পরই ওই ব্যক্তিকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় ময়দান থানায়।
সেখানে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই জানা যায়, তিনি আদৌ পুলিশ তো দূর অস্ত, সিভিক ভলেন্টিয়ারও নয়। তার নাম মানস সরকার, ২৮ বছর বয়স, দমদমে বাড়ি। এর পরই তাঁকে ময়দান থানার পুলিশ গ্রেফতার করে।
ময়দান থানার পুলিশ কর্মীরা জানাচ্ছেন, ওই ব্যক্তি ভুয়া পুলিশ কর্মী হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিলেও মাস্ক না পরা ব্যক্তিদের যেভাবে আটকাচ্ছিল তা খুবই ভাল, কিন্তু টাকা আদায় করা এবং নিজেকে পুলিশ পরিচয় দেওয়া অত্যন্ত গর্হিত অপরাধ।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।