#কলকাতা: প্রাইভেট ট্রেনিং কলেজের পর এবার প্রাইভেট ল’কলেজ ও ফার্মাসি কলেজ অনুমোদনেও পার্থ-মানিক যোগ পেল ইডি। এছাড়াও একাধিক ল ও ফার্মাসি কলেজের নো- অবজেকশন সার্টিফিকেট দেওয়ার ক্ষেত্রে মানিক ভট্টাচার্যেরও যোগ আছে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এখানেই শেষ নয় অনুমোদনের ক্ষেত্রে একটি' ল’কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবেও প্রভাব খাটিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য, এমনই দাবি করেছে ইডি।উল্লেখ্য, কোনও বেসরকারি ল’কলেজ বা ফার্মাসি কলেজ খোলার ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় শিক্ষা দফতরের নো অবজেকশন সার্টিফিকেট। সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই কাজ করেছে পার্থ-মানিক জুটি বলে মনে করছে তদন্তকারী সংস্থা।
সূত্রের দাবি, এনওসি সার্টিফিকেট বা অনুমোদন দিতে কলেজ পিছু নেওয়া হয়েছে ১০-১২ লক্ষ টাকা। কিছু ক্ষেত্রে সেই টাকার অঙ্ক পেরিয়েছে ১৫ লক্ষ। কী ভাবে ভাগ হয়েছে টাকা? 'কলেজ পিছু আসা ১০ লক্ষ টাকা ভাগ হয়েছে পার্থ ও মানিকের মধ্যে' এমনই ইঙ্গিত মিলেছে বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে।
শুধু তাই নয় মধ্যস্থতাকারীর উপস্থিতিও মিলেছে। মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ট এক ব্যক্তি বিভিন্ন সময় বেসরকারি ল’কলেজ কর্তৃপক্ষ বা মালিকপক্ষের সঙ্গে মানিকের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ছিল বলেই জানতে পেরেছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। সূত্রের খবর, তাকেও তলব করতে চায় ইডি। ইতিমধ্যে সেই সকল কলেজ চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: আদালতে অস্বস্তিতে শুভেন্দু, 'মানহানি' মামলায় ১৯ ডিসেম্বর ফের তলব
এছাড়া এখনও পর্যন্ত ২৫টি প্রাইভেট টিচার্স ট্রেনিং কলেজের মালিককে ডেকে বয়ান রেকর্ড করেছে ইডি। তাতে অফ লাইনে রেজিস্ট্রেশনে ঘুষের তথ্য প্রমাণ হাতে এসেছে বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থার। প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলাতেও মানিকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে।
অযোগ্য প্রার্থীদের টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়া, শিক্ষক বদলিতেও ঘুষ নেওয়ার মতও অভিযোগ রয়েছে মানিকের বিরুদ্ধে। ইডির দাবি, নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করা এবং পার্থর সঙ্গে জুটি বেঁধেই একের পর এক দুর্নীতি চালিয়েছেন মানিক। টাকা নেওয়া ক্ষেত্রে কখনও ছেলের সংস্থার অ্যাকাউন্ট, কখনও আবার স্ত্রী ও ভাইয়ের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছেন বলে দাবি ইডির।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: ED