কলকাতা: মাটির চরিত্র বদলে, থমকে গেল ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর ইমারজেন্সি ইভাকুয়েশন শ্যাফট তৈরির কাজ। সুবোধ মল্লিক স্কোয়্যারে ৭০ শতাংশ কাজ শেষ করে ফেলেছিল কেএমআরসিএল৷ বউবাজার বিপর্যয়ের তৃতীয় দফার পরে শ্যাফট নিয়ে চিন্তায় নির্মাণকারী সংস্থা। এর পাশেই রয়েছে কলকাতা পুরসভার শতাব্দী প্রাচীন জলাধার। কাজে নতুন করে সমস্যা হলে ক্ষতি হতে পারে কলকাতার পানীয় জল সরবরাহ ব্যবস্থার।আপাতত তাই কাজ বন্ধ করা হল।বিকল্প জায়গা দেখা হয়েছে।যদিও সেখানে কাজ ব্যয়বহুল ও সময় সাপেক্ষ।
৭০ শতাংশ কাজ এগোনোর পরে, তা থমকে যাওয়ায় পরিকল্পনা নিয়েই প্রশ্ন। আপাতত মাটি শক্ত রাখতে চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে গ্রাউটিং। শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেড মেট্রো পথে দূরত্ব ২.৫ কিলোমিটারের বেশি।আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী, দু'টি স্টেশনের মধ্যে দূরত্ব ২ কিলোমিটারের বেশি হলেই স্টেশন তৈরি করতে হয়।
আরও পড়ুন: আর হবে না ভোগান্তি! বড়সড় সুখবর মেট্রো যাত্রীদের
স্টেশন তৈরির জমি না পাওয়ায় এই শ্যাফট বানানো হচ্ছিল৷ কেএমআরসিএল-এর এমডি এন সি কারমালি জানিয়েছেন, আপাতত কাজ স্থগিত রাখা হয়েছে। মাটির ৫ মিটার গভীরে গিয়ে জমি গ্রাউটিং করা হচ্ছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত জমি শক্ত হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত পুনরায় কাজ করা হবেনা। সূত্রের খবর, এই কাজের জন্য বিকল্প জায়গার সন্ধানও করা শুরু হয়েছে। পাশেই ক্যালকাটা টেকনিক্যাল স্কুলের জমি দেখা হচ্ছে এই কাজের জন্য। তবে ফের কাজ নতুন করে শুরু হলে তা হয়ে উঠবে অত্যন্ত ব্যয়সাপেক্ষ। এ ছাড়া প্রকল্পের কাজ শেষ করতেও প্রচুর সময় লেগে যাবে।
প্রসঙ্গত, শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেডের অংশে চলতি বছরের অক্টোবর মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এর পরে ফের নতুন করে কাজ শুরু হলে চূড়ান্ত অসুবিধা বা অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হবে মেট্রোকে।পাতালে রেল চলাচলের জন্য আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী দুই কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের স্টেশন হলেই মাঝে স্টেশন তৈরি করতে হয়। এখানে সেই স্টেশন তৈরির জমি না পাওয়ায় বানানো হয়েছিল ভেন্টিলেশন বা ইমারজেন্সি ইভাকুয়েশন শ্যাফট। যার মাধ্যমে সুড়ঙ্গে স্বাভাবিক অক্সিজেন সরবরাহ করার পাশাপাশি বিপদের সময় যাত্রীদেরও উঠিয়ে আনা সম্ভব হবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: East-West Metro