কলকাতা: এক মাসেরও কম সময়ে, দিদির সুরক্ষা কবচ প্রকল্প ৮৫০টিরও বেশি গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা হাজার হাজার বাসিন্দার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং তাঁদের রাজ্য সরকারের কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলি সম্পর্কে অবহিত করেছেন।
দিদির সুরক্ষা কবচের বার্তা আরও ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস রবিবার এই প্রচারকার্যের জন্য একটি গান ও একটি মিউজিক ভিডিও সবার সামনে এনেছেন। গানটি এই প্রচারকার্যের লক্ষ্যকে পুরোপুরি পূরণ করে এবং নিশ্চিত করে যে বাংলার প্রতিটি বাসিন্দা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রদত্ত ছয়টি বিভাগের অন্তর্গত ১৫টি কল্যাণমূলক প্রকল্পের যে নিরাপত্তা বলয় তার মাধ্যমে নিরাপদ এবং সুরক্ষিত থাকে।
রবিবার সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে টুইট করা হয়,“The wait is finally over, #DidirSurakshaKawach song has been released. A powerful song, a true celebration of our Hon’ble Chairperson @MamataOfficial’s dream for Bengal. In the days to come, we are certain that this song will become an anthem of the Bengal Model”
রবিবার তৃণমূল ভবনে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য যুব সভাপতি সায়নী ঘোষ, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সোশ্যাল মিডিয়া এবং আইটি সেলের ইনচার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্য এবং পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য গানটি প্রকাশ্যে আনেন। তারা বলেন, এটি "মানুষের জন্য এটি একটি আবেগপূর্ণ বার্তা"।
সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময়, সোশ্যাল মিডিয়া এবং আইটি সেলের ইনচার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেছেন, “আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী ভাবে আমাদের সকলের মা হয়ে উঠেছেন এবং বাংলার মানুষকে রক্ষা করার জন্য একটি প্রতিরক্ষামূলক কবচ প্রদান করেছেন, দিদির সুরক্ষা কবচ হল তার একটি উদাহরণ। যখনই একটি কর্মসূচি শুরু করা হয়, তখনই পথে কিছু বাধা আসতে পারে। কিন্তু সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস এই ধরনের সমস্ত সমস্যা কাটিয়ে উঠছে এবং দিদির প্রতিরক্ষামূলক এই কমসূচি সবার কাছে পৌঁছে দিচ্ছে”।
দেবাংশু ভট্টাচার্য মিথ্যা দাবির মাধ্যমে বিরোধী দলগুলি যে বিদ্বেষপূর্ণ প্রচারের সাহায্য নিচ্ছে সেটাও সবার সামনে তুলে ধরেছেন। তিনি আরও বলেছেন, “তারা দাবি করেছিল যে দুয়ারে সরকার একটি নির্বাচন ভিত্তিক প্রচার ছিল এবং ভোট শেষ হলে তা বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু তাদের আশ্চর্য করে এখনও দুয়ারে সরকার বছরে দুবার বাংলা জুড়ে হাজার হাজার মানুষকে সহায়তা করছে। একইভাবে, যতক্ষণ না বাংলার প্রতিটি পরিবারকে দিদির সুরক্ষা কবচের মাধ্যমে সুরক্ষিত করা না হয়, ততক্ষণ আমাদের কর্মসূচি বন্ধ হবে না, রাজ্যের ১০ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছনোর মতো ব্যাপক কর্মসূচি এক আগে আর কোনও রাজনৈতিক দল কখনও করতে পারেনি''।
সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ বলেছেন অন্যান্য সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের গানগুলি যেমন "বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়" বা "খেলা হবে" মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছিল সেভাবেই দিদির সুরক্ষা কবচ গানটিও "কিছুক্ষণের মধ্যেই মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেবে”।
বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে দিদির সুরক্ষা কবচ প্রচারকার্যের দুটি কর্মসূচি -'অঞ্চলে একদিন' এবং 'দুয়ারে দিদির দূত' নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেছেন, "প্রচারকার্যটি বাংলার মানুষের কাছ থেকে অভূতপূর্ব গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিনিধিরা রাজ্যের প্রত্যন্ত কোণে প্রতিটি গ্রাম পরিদর্শন করছেন এবং জনগণ যাতে কল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধাগুলি পান তা নিশ্চিত করতে ওই অঞ্চলে একটি করে দিন কাটাচ্ছেন। এই প্রচারকার্য বাংলার মানুষকে একটি দৃষ্টান্তমূলক পরিবর্তনের দিকে পরিচালিত করেছে”।
যাঁরা এই কর্মসূচির নিন্দা করছেন তাদের নিয়ে রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য আরও বলেছেন, “আমরা আমাদের জনগণের মুখোমুখি হতে এবং তাঁদের উদ্বেগের কথা শুনতে ভয় পাই না। আমাদের নেতারা জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি ঘরে ঘরে যাচ্ছেন। নিজেদের দোষ অস্বীকার করার পরিবর্তে, আমরা নিজেদের ভুলগুলি শুধরে নিয়ে সেগুলির সমাধানে বিশ্বাস করি যা আমাদের সুশাসনের লক্ষ্যকে পূরণ করে”।
আরও পড়ুন: জিম-Yoga-ডায়েট ভুলে যান! জাস্ট দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই হুড়মুড়িয়ে কমবে ওজন! মেনে চলুন এই টিপস
প্রচারকার্যতে গানের এই ধারণার উপর জোর দিয়ে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য যুব সভাপতি সায়নী ঘোষ বলেছেন, “গানটি শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে শুরু করে খাদ্য, বাসস্থান, আয়, সামাজিক নিরাপত্তা,মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রদত্ত এই ছয়টি বিভাগের অন্তর্গত ১৫টি কল্যাণমূলক প্রকল্পের প্রচারের উদ্দেশ্যকে তুলে ধরে। আমাদের ৩.৫ লক্ষ কর্মী কমপক্ষে ২ কোটি পরিবারের কাছে পৌঁছবেন এবং নিশ্চিত করবেন যে সমস্ত যোগ্য ব্যক্তিরা দিদির সুরক্ষা কবচের অধীনে তালিকাভুক্ত কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির সুবিধা পাচ্ছেন”।
এই প্রচারকার্যকে নিয়ে যে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে তা অস্বীকার করে সায়নী ঘোষ বলেছেন,“প্রচারকার্যের মূল বিষয় হল আমাদের জনগণকে জিজ্ঞাসা করা যে তাঁরা কল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন কিনা। এই কারণেই যখন মানুষ আমাদের কাছে তাঁদের সমস্যা এবং প্রয়োজন প্রকাশ করে, তখন এটিকে প্রতিবাদ বলা যায় না''।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।