Presidency University: 'মেলামেশা'-তেও বাধা? প্রেসিডেন্সির ‘কোড অফ কন্ডাক্ট’ ঘিরে বিতর্ক, মুক্ত চিন্তায় বাধা বলছেন পড়ুয়ারা

Last Updated:

Presidency University: অনুশাসনের নামে চাপিয়ে দেওয়া এই কোড অফ কন্ডাক্ট আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তচিন্তা ধারার পরিপন্থী বলেই মনে করছেন ছাত্র-ছাত্রীদের অনেকেই।

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়
কলকাতা: গত কয়েকদিন ধরেই কলকাতা শহরের অন্যতম নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসিডেন্সিতে আলোচিত বিষয়ে একটাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া গঠিত কমিটি এবং ক্যাম্পাসে আরোপিত কোড অফ কন্ডাক্ট। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় গত কয়েক মাস ধরে এই কোড অফ কন্ডাক্ট এর বাড়বাড়ন্ততে যথেষ্টই বিরক্ত ছাত্র-ছাত্রী মহলের একাংশ। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর ছাত্র-ছাত্রীদের পর্যাপ্ত অনুশাসনের আওতায় আনতে এই কোড অফ কন্ডাক্ট এর খসড়া তৈরি করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে, তবে এখনই তা চূড়ান্ত নয়।
তবে কোড অফ কন্ডাক্টের খসড়া সামনে আসতেই বেজায় চটেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। অনুশাসনের নামে চাপিয়ে দেওয়া এই কোড অফ কন্ডাক্ট আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তচিন্তা ধারার পরিপন্থী বলেই মনে করছেন ছাত্র-ছাত্রীদের অনেকেই। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে নেওয়া কোনও সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে যাতে কোন আন্দোলন না গড়ে ওঠে তার জন্য বেশ কিছু নিয়মকানুন রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন ছাত্রছাত্রীরা। ক্যাম্পাসে স্লোগান দেওয়া-সহ একাধিক ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন তারা। তাদের দাবি নয়া কোড অফ কন্ডাক্ট কার্যকর হলে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কোন আন্দোলন করতে হলে তার জন্য কর্তৃপক্ষের “অনুমতি” বাধ্যতামূলক হয়ে যাবে।
advertisement
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে কোনও খবর অনুমতি ছাড়া সংবাদমাধ্যমের কাছে পৌঁছানো যাবে না। কলেজ এবং হোস্টেল চত্বরেও একাধিক আচরণবিধি বেঁধে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। একই অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম ছাত্র সংগঠন SFI । এসএফআইয়ের প্রেসিডেন্সি ইউনিটের তরফে সম্পাদক ঋষভ সাহা জানান, “ক্যাম্পাস-বিশ্ববিদ্যালয়ের বুকে অথরিটির এই আক্রমণ স্বৈরতান্ত্রিক কার্যকলাপের নিদর্শন।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের শীর্ষে আরাবুল-শওকতের জেলা, তারপরেই অনুব্রতের বীরভূম, ভোট হচ্ছে না ৮ হাজার আসনে
গত কয়েকমাস আগে বিবিসির ডকুমেন্টরি স্ক্রিনিং এর ক্ষেত্রে বাধা নেমে এসেছিল অথরিটির থেকে। নয়া জাতীয় শিক্ষানীতির প্রকোপ ইতিমধ্যেই প্রেসিডেন্সির ওপর নামিয়ে এনেছে অথরিটি। এই নয়া “কোড অফ কন্ডাক্ট” তার থেকে বিচ্ছিন্ন কোনও ঘটনা নয়। নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ণের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার ছাত্রছাত্রীদের দৈনন্দিন মেলামেশা তথা মুক্তচিন্তার ওপর যেমন আঘাত নামাতে চাইছে, তেমনই প্রেসিডেন্সির বুকেও অথরিটির একই আক্রমণ নেমে আসছে।
advertisement
ছাত্রছাত্রীদের জন্য তৈরি বিভিন্ন পরিকাঠামো ব্যবহারের ক্ষেত্রেও ছাত্রছাত্রীদের স্বাধীনতা খর্ব করা হচ্ছে। তার সাথে নেমে এসেছে রাজনৈতিক চর্চার ওপর বাধাবিপত্তি, মুক্তচিন্তার ওপর আঘাত, স্বাভাবিক জীবনযাপন এবং ক্যাম্পাস লাইফের ওপর নজরদারি। পাশাপাশি এই “কোড অফ কন্ডাক্ট” আদতে ভারতীয় সংবিধানের আর্টিকেল ১৯(১) এ বর্ণিত বাকস্বাধীনতার অধিকার, শান্তিপূর্ণ জমায়েতের অধিকার এবং সমিতি, সংগঠন বা সমবায় গঠনের অধিকারের তথা আর্টিকেল ২১ এ বর্ণিত রাইট টু লাইফ এবং পার্সোনাল লিবার্টির অধিকারের পরিপন্থীও বটে।” এসএফআইয়ের তরফে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী প্রাক্তনী এবং গবেষকদের থেকে এই নয়া আচরণ বিধি নিয়ে মতামত সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও এই আচরণ বিধি নিয়ে এখনো পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কোন বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Presidency University: 'মেলামেশা'-তেও বাধা? প্রেসিডেন্সির ‘কোড অফ কন্ডাক্ট’ ঘিরে বিতর্ক, মুক্ত চিন্তায় বাধা বলছেন পড়ুয়ারা
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement