রাজ্যজুড়ে কালীপুজো ও ছটপুজোয় বাজি নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

Last Updated:

রাজ্যে সমস্তধরনের বাজি কেনাবেচার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট ৷

#কলকাতা: রাজ্যজুড়ে এবছর কালীপুজোয় কোনও বাজি ফাটানো হবে না ৷ এমনই নির্দেশ দিল আদালত ৷ শুধু তাই নয়, ছটপুজোতেও এবারে কোনও বাজি জ্বালানো বা ফাটানো যাবে না ৷ রাজ্যে সমস্তধরনের বাজি কেনাবেচার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট ৷
করোনা সংক্রমণের কারণে এমনিতেই অনেকের শ্বাসকষ্ট। আতসবাজি পোড়ালে সেই শ্বাসকষ্ট আরও বাড়ার আশঙ্কা। তাই, বাজির উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা ৷ তাতেই এবছর বাজি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দিল বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ ৷
করোনা আক্রান্তদের কাছে বাজি মানেই বিষ। দিওয়ালির মরসুমের আগে বারে বারে এই সতর্কবার্তা শোনাচ্ছেন চিকিৎসকরা। ইতিমধ্যেই দিল্লি, রাজস্থান, ওড়িশার মতো বেশ কয়েকটি রাজ্য আসতবাজি পোড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এবার এরাজ্যে একই নির্দেশিকা জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট।
advertisement
advertisement
একইসঙ্গে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া এড়াতে দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজোতেও মন্ডপে দর্শকদের নো-এন্ট্রি ৷ দুর্গাপুজোর মতোই দূরত্ববিধি সহ ভিড় এড়াতে আদালত নির্দেশিত বাকি নিয়মগুলিও মানতে হবে পুজো উদ্যোক্তাদের ৷ ৩০০ বর্গমিটারের ছোট মণ্ডপে পাঁচ মিটার দূরে থাকবে নো-এন্ট্রি ৷ ১০ জনের বেশি একসঙ্গে থাকা যাবে না মন্ডপে ৷ ৩০০ বর্গমিটারের থেকে বড় মণ্ডপে সর্বাধিক ৪৫ জন একসঙ্গে থাকতে পারবেন ৷
advertisement
রাজস্থান, ওড়িশার পথে এবার বাংলাও ৷ আদালতের নির্দেশে এরাজ্যেও এবছর নিষিদ্ধ বলে ঘোষিত হল সমস্তধরনের বাজি ৷ করোনা আবহে দূষণ মাত্রা বাড়লে তা আরও প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে সেই আশঙ্কাতেই চিকিৎসক থেকে পরিবেশকর্মীরা এবছর বাজি না পোড়ানোর জন্য প্রচার চালাচ্ছিলেন ৷ রাজ্যসরকারও মঙ্গলবার রাজ্যবাসীর কাছে এবছর বাজি না পোড়ানোর আবেদন করেন ৷ ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের আবেদনে সাড়া দিয়ে কালিকাপুর, বেহালা, হাওড়া এবং টালা - এই চার জায়গার বাজি বাজারের আয়োজকরা জানিয়েছিলেন, করোনার কারণে এবছর বাজি বাজার বসানো হবে না ৷
advertisement
প্রতিবছরও দিওয়ালি ও কালীপুজোয় দেদার বাজি পোড়ানোর পর দূষণমাত্রা বিপদসীমা ছাড়ায় ৷ বাতাসে মাত্রাছাড়া ভাবে বাড়ে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ ৷ এবছরও তেমন হলে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কার মধ্যে আরও বাড়বে শ্বাসকষ্ট ৷ নিঃশ্বাসের সমস্যায় ভোগা করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে তা হয়ে উঠতে পারে প্রাণঘাতী ৷ এই যুক্তিতেই জনস্বার্থ মামলাকারী অনুসূয়া ভট্টাচার্যের আদালতে আর্জি জানান এবছরের জন্য আতসবাজি তৈরি ও বেচা-কেনা নিষিদ্ধ করা হোক ৷ সেই আর্জিকে মান্যতা দিয়েই আদালতের এদিনের ঘোষণা ৷ একইসঙ্গে জনস্বার্থ মামলাকারী অজয়কুমার দে-ও আদালতে দুর্গাপুজোর মতো বাকি পুজোতেও সংক্রমণ এড়াতে নো-এন্ট্রির নির্দেশ দেওয়ার আর্জি জানান ৷ সেই আবেদনের শুনানিতেই নো-এন্ট্রি বহালের সিদ্ধান্ত বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চের ৷
advertisement
তবে এমন নির্দেশে প্রচুর আর্থিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন বাজি বিক্রেতা ও প্রস্তুতকারকরা ৷ তাদের দাবি শুধু বছরের এই সময়ের কথা ভেবেই বাজি তৈরি করে অনেকের সংসার চলে ৷
দূষণ নিয়ন্ত্রণে রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবরে ছটপুজো হোক তা চায় না হাইকোর্ট। ছটপুজোর শোভাযাত্রায় ভিড় নিয়ন্ত্রণেও বাড়তি নজর রয়েছে বিচারপতিদের। কিন্তু এবিষয়ে সিদ্ধান্ত এখনও ঝুলে রয়েছে। রাজ্য সরকারের অবস্থান জানার পর, ১০ নভেম্বর ছটপুজোর শোভাযাত্রা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে হাইকোর্ট।
Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷  News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে  ক্লিক করুন এখানে ৷ 
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
রাজ্যজুড়ে কালীপুজো ও ছটপুজোয় বাজি নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement