#নয়াদিল্লি: ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় ২০০ আসন চাই! এটাই গেরুয়া শিবিরের এখন সবথেকে বড় মাথা ব্যাথার কারণ। তাই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণের সব রাজ্য ছেড়ে একে একে হেভিওয়েট নেতৃত্বকে বাংলার দায়িত্বে পাঠানো হচ্ছে। তালিকার শীর্ষেই রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। সূত্রের খবর, বিজেপির সেকেন্ড ইন কম্যান্ডের কড়া নির্দেশ, 'formula 23' গোপন স্ট্রাটেজি অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে হবে দলীয় কর্মী এবং সংগঠনগুলিকে। তাতেই নির্বাচনে জেতা সম্ভব। উল্লেখ্য, ডিসেম্বরেই রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ।
বাংলাকে কব্জা করতে কোনও রকম কসুর করতে নারাজ মোদি ব্রিগেড। তাই নির্বাচনের দামামা বাজার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্যের পাঁচটি জোনে পাঁচজন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষককে নিয়োগ করা হয়। আর সকলের মাথায় রাখা হয় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অর্থাৎ, এবার থেকে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত বাংলার ঘুঁটি সাজাবেন সাতজন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচার থেকে সংগঠন সামলাবেন এই সাতজন। সেই রিপোর্ট জমা পড়বে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। প্রত্যেকের দায়িত্বে থাকবে ৬-৭টি করে লোকসভা কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং সাখাওয়াত, সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা, জাহাজমন্ত্রী মনসুখ মান্ডভিয়া, পর্যটন এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং পটেল এবং পশুপালন মন্ত্রী ড. সঞ্জীব বল্যানকে রাজ্যের দায়িত্ব সামলানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য এবং মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. নরোত্তমকে গেরুয়া শিবিরের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে বহাল করা হয়েছে।
বিজেপি সূত্রে খবর, গজেন্দ্র সিং সাখাওয়াতের আওতাধীন থাকবে কলকাতার লোকসভা কেন্দ্রগুলি। অর্জুন মুন্ডার দায়িত্বে শুভেন্দু অধিকারীর গড় পূর্ব মেদিনীপুরের ঝাড়গ্রাম। মনসুখ মান্ডভিয়াকে দেওয়া হয়েছে হলদিয়া। প্রহ্লাদ সিং পটেল উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির লোকসভা এলাকাগুলি সামলাবেন। কেশবপ্রসাদ মৌর্যকে দেওয়া হয়েছে হাওড়ার লোকসভা কেন্দ্রগুলি দেখভালের দায়িত্ব। পশুপালন মন্ত্রী ডঃ সঞ্জীব বল্যান নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদের দায়িত্বে বহাল থাকবেন। সূত্রের খবর, দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষকরা সকলে বিস্তারিত রিপোর্ট ডিসেম্বরের ৩১-র মধ্যে পেশ করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে।