রাজীব চক্রবর্তী, নয়াদিল্লি: প্রাথমিকে ২৬৯ জনের চাকরি বাতিল মামলায় দীর্ঘ শুনানির শেষ লগ্নে ঝড় তুললেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস এবং সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চে প্রমাণ পেশ করে তিনি অভিযোগ তুললেন দুর্নীতির সঙ্গে আগাগোড়া যুক্ত ছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
তথ্য দিয়ে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেছেন, ২০১৫ সালে ৪২ হাজার শূন্যপদের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। ২০১৬ সালে ফল প্রকাশিত হয়। শীর্ষ আদালতে তিনি জানান, ২০১৭ সালের ৩১ জানুয়ারি প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। তাঁর ওএমআর শিটে বিস্তর কারচুপি করা হয়। কারচুপির পর ফোটোকপি রেখে অরিজিনাল ওএমআর শিট নষ্ট করে দেওয়া হয়। বিকাশ ভট্টাচার্যের কথায়, আদালতে মামলা চলাকালীন ওএমআর শিট নষ্ট করেছে পর্ষদ। ৪২ হাজার শূন্যপদ হলেও দু-হাজার পদ অজ্ঞাত কারণে বেআইনি ভাবে রেখে দেওয়া হয়। আচমকা জরুরি বৈঠক ডেকে ২৭০ জনকে বাড়তি ১ নম্বর পাইয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বোর্ড।
আরও পড়ুন: জীবনকৃষ্ণের মোবাইলে কার নাম, এবার কাকে ডাক? নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার বিরাট মোড়
তিনি জানান, বাংলা প্রশ্নের ভুলে উর্দু ভাষার প্রার্থীদের বাড়তি নম্বর পাইয়ে দেওয়া হয়। পুরোটাই হয়েছে ৮০ হাজার যোগ্য প্রার্থীকে অপেক্ষায় রেখে। অন্যদিকে চাকরিহারা ও বোর্ডের তরফে আইনজীবীদের অভিযোগ ৪ মাসের সিবিআই তদন্তের রিপোর্টে আর্থিক লেনদেনের উল্লেখ নেই। চাকরিহারাদের বক্তব্য শোনা হয়নি। যাঁরা ৮৯ নম্বর পেয়েছিলেন, ভুল প্রশ্নের কারণে আবেদনের ভিত্তিতে তাঁদেরই এক নম্বর দেওয়া হয়েছে।
সব অভিযোগ যাঁর বিরুদ্ধে সেই মানিক ভট্টাচার্য এখন জেলে। চাকরি প্রার্থীরা দোষ করেননি। আজ এই মামলার ফের শুনানি হবে।
আরও পড়ুন: টাকা নেওয়ার প্রমাণ স্পষ্ট, Ssc দুর্নীতিতে এবার বড় কাণ্ড CBI-এর! কে এই ব্যক্তি? কী যোগ?
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরেছে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা। তার প্রক্রিয়া শুরু করেছে আদালত। সূত্রের খবর, ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির কার্যালয়ের তরফে সৌমেন নন্দী ও রমেশ মালিকের মামলার নথি চেয়ে পাঠানো হয়৷ এই দুই মামলাই প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীাতির মূল দুই মামলা৷ অবিলম্বে এই মামলা সংক্রান্ত সমস্ত নথি ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির কার্যালয়ে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়৷ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের ডেপুটি রেজিস্টারের তরফে বার্তা মারফত ১৭ নম্বর আদালত কক্ষের কাছ থেকে এই নথি চাওয়া হয়৷
গত সেপ্টেম্বরে একটি সংবাদমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ এ নিয়ে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়ের করা একটি মামলায় গত সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন অভিষেকের আইনজীবী৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।