#কলকাতা: হুগলির গোঘাটে হেনস্থার শিকার হওয়ার পর রবিবার সকালে বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে তার বাড়িতে দেখতে গেলেন কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান। বিকাশ রঞ্জনের অভিযোগ, পরিকল্পনা করেই এই হামলা চালানো হয়েছিল। পরিকল্পনা করা হয়েছিল তৃণমূল ভবনেই। নারদা মামলায় ভয় পেয়েই তৃণমূল এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর। একই অভিযোগ করেন কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নাও। তার অভিযোগ, দুর্নীতিকে সামনে আনছে বলেই এরকম অবস্থা। এদিন আবদুল মান্নানের সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী।
শনিবার ভাবাদিঘি যাওয়ার পথে সেভ ডেমোক্রেসির সদস্যদের বাধা দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূলের পাল্টা দাবি দলের কেউই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। আরামবাগের SDPO-র কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
দিঘি বুজিয়ে তৈরি হবে রেললাইন। দিঘির মালিকানা রয়েছে মোট ২৮৩ জনের কাছে। এর মধ্যে ৮৩ জন দিঘি বোজানোর বিরুদ্ধে। এই চাপানউতোরকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত হুগলির ভাবাদিঘি এলাকা। শনিবার অনিচ্ছুকদের সঙ্গে দেখা করতে ভাবাদিঘি যাচ্ছিলেন সেভ ডেমোক্রেসির কয়েকজন সদস্য। দলে ছিলেন সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। অভিযোগ, আরামবাগ কামারপুকুর রোড ধরে ভাবাদিঘি যাওয়ার পথে উল্লাসপুরের কাছে গাড়ি আটকায় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। জোর করে গাড়ি থেকে নামিয়ে তাঁদের শারীরিক ভাবে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ।
দলে ছিলেন চার মহিলা সদস্য। তাঁদের থুথু ছেটানো হয় বলেও অভিযোগ। গাড়ি আটকে রেখেই চলতে থাকে বিক্ষোভ। অগত্যা মাঝপথ থেকেই ফিরে আসেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও অন্যান্য সদস্যরা। অন্যদিকে, ঘটনায় দলের কেউ জড়িত নয় বলে দাবি তৃণমূল নেৃতৃত্বের।