Subrata Mukherjee: আর অপেক্ষা নয়, বৃত্ত সম্পূর্ণ করতে কালীপুজোর রাতেই প্রিয়-সোমেনের কাছে চলে গেলেন সুব্রত...

Last Updated:

Subrata Mukherjee: মফঃস্বল থেকে আসা প্রিয়রঞ্জন এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সেই অটুট বন্ধন তৈরি হল উত্তর কলকাতার দাপুটে সোমেন মিত্রের সঙ্গে।

মিলে গেল ত্রয়ী...
মিলে গেল ত্রয়ী...
কলকাতা: “প্রিয়-সোমেন-সুব্রত”, বাংলার রাজনীতিতে এই ত্রিফলার নাম বহুচর্চিত। ছয়ের দশকের শেষের দিকে ছাত্র রাজনীতি দিয়ে পথচলা শুরু প্রিয় রঞ্জন দাশমুন্সি (Priyaranjan Dasmunsi), সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের (Subrata Mukherjee)। ততদিনে যুব কংগ্রেসের প্রভাবশালী নেতা সোমেন মিত্র। মফঃস্বল থেকে আসা প্রিয়রঞ্জন এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সেই অটুট বন্ধন তৈরি হল উত্তর কলকাতার দাপুটে সোমেন মিত্রের সঙ্গে। রাজ্যে কংগ্রেসের ভীত শক্ত করতে একসঙ্গে সেই পথচলা শুরু প্রিয়-সোমেন-সুব্রত ত্রয়ীর।
এরপর গঙ্গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে রাজনীতির কত জল। কখনও তিন 'বন্ধু' সহমত হয়েছেন, আবার কখনও ভিন্নমত হয়েছেন তাঁরা। কিন্তু অটুট থেকেছে তাঁদের মধ্যেকার সম্পর্ক। প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি অনেক আগেই চলে গিয়েছিলেন। দীর্ঘদিনের হাসপাতাল-বাস ছিল প্রিয়র। গতবছর ৩০ জুলাই চলে যান সোমেন মিত্রও। বাংলায় ডানপন্থী রাজনীতির দুটি ফলা খসে গিয়েছিল আগেই। রয়ে গিয়েছিলেন একা সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সোমেন মিত্র মারা যাওয়ার পর 'একাকীত্বের' কথা ভাগ করে নিয়েছিলেন সুব্রত। দুই বন্ধুকে হারিয়ে ভাগ করেছিলেন কষ্টের কথা। আজ সেই তিনিই বিদায় নিলেন চিরতরে।
advertisement
advertisement
১৯৪৬ সালের ১৪ জুন বজবজের সারেঙ্গাবাদে জন্ম সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। মফস্সলের ছেলে কলকাতার কলেজে পড়তে পড়তেই কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। সেই সূত্রেই ঘনিষ্ঠতা হয়েছিল প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির সঙ্গে। সত্তরের দশকে প্রিয়-সুব্রত জুটি হয়ে উঠেছিল বাংলার ছাত্র রাজনীতিতে সবচেয়ে আলোচিত নাম। তাঁদের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছিলেন সোমেন মিত্রও।
advertisement
একসময় খোদ ইন্দিরা গান্ধির প্রিয়পাত্র সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ভোটে জিতে কোনও দিন দিল্লির রাজনীতিতে সেভাবে যেতে পারেননি সুব্রত। কিন্তু রাজ্যস্তরে তাঁর জনপ্রিয়তা ছিল অবিসংবাদী। আজ যে মমতা সুব্রত দা'র জন্য নিজের বাড়ির পুজো ফেলে ছুটে গেলেন হাসপাতাল, ২০০৫ সালে সেই তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে বিরোধের জেরে তৃণমূল ছেড়ে পৃথক মঞ্চ গড়েছিলেন তিনি। এনসিপি-র ‘ঘড়ি’ চিহ্ন নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে লড়াই করেছিলেন পুরভোটে। সুব্রত নিজে অবশ্য জিতেছিলেন। তবে, ধরাশায়ী হয় তাঁর তৈরি মঞ্চ। পাঁচ বছর পর ফের কলকাতা পুরসভা জেতে বামফ্রন্ট। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসে ফিরে যান সুব্রত।
advertisement
মমতা-সোমেনের দ্বন্দ্বেই তৃণমূলের জন্ম। একথা বহু চর্চিত হলেও মানতে নারাজ ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তাঁর মত ছিল, নয়ের দশকের শেষ দিকে কংগ্রেস যেভাবে চলছিল, সেই পথকে সমর্থন করেননি মমতা। তাই ১৯৯৮ সালে কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি করেন। তৃণমূলের জন্মের পেছনে সোমেন মিত্রের কোনও ভূমিকা নেই। দুজনের শেষ দিনে অবশ্য সোমেন-সুব্রত অবশ্য ছিলেন দুই দলের প্রতিনিধি।
advertisement
রাজ্য রাজনীতি শুধু নয়, কেন্দ্রীয় রাজনীতির অনেক জানা-অজানা ঘটনার সাক্ষী প্রিয়-সোমেন-সুব্রত। অনেক না বলা কথা বলতে সেই প্রিয়-সোমেনের কাছেই চলে গেলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এই ত্রয়ীর কক্ষপথ থেকে আগেই ছিটকে গিয়েছিলেন দুজন। স্বাভাবিকভাবেই একলা হয়ে পড়েছিলেন সুব্রত। তাই প্রিয় প্রিয়-সোমেনের সঙ্গে একই কক্ষপথে চলে গেলেন সুব্রত।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Subrata Mukherjee: আর অপেক্ষা নয়, বৃত্ত সম্পূর্ণ করতে কালীপুজোর রাতেই প্রিয়-সোমেনের কাছে চলে গেলেন সুব্রত...
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement