Adenovirus: শহরজুড়ে অ্যাডিনোভাইরাসের আতঙ্ক! জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে একরত্তিদের ভিড়, কিন্তু বেড কই..

Last Updated:

বিসি রায় হাসপাতাল, ন্যাশনাল মেডিক্যাল, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, বাঁকুড়া, মালদা মেডিক্যাল কলেজে এবার শিশু চিকিৎসার হাব করা হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও সতর্ক করা হয়েছে অ্যাডিনোভাইরাস নিয়ে।

কলকাতা: রাজ্যে ক্রমশ চেপে বসছে অ্যাডিনো ভাইরাসের আতঙ্ক। গত তিনদিনে ১০ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে। তার মধ্যে মঙ্গলবার সকালেই আরও তিন শিশুর মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ময়দানে নামতে হয়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে। মঙ্গলবার স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন তিনি। সূত্রের খবর, বৈঠকে মমতা খোঁজ নিয়েছেন হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত সংখ্যক বেড আছে কি না। শিশুদের চিকিৎসায় এবং সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে যাতে কোনও রকমের গাফিলতি না করা হয়, তা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন তিনি। জেলার হাসপাতালের রেফার রোগ নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ফের ভাইরাস-আতঙ্ক! জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট! এক্কেবারে করোনার মতো, বাচ্চাদের সামলে..
এদিকে রোগীর ভিড় সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে কলকাতার সরকারি হাসপাতাগুলিকে। শোনা যাচ্ছে, এত শিশু জ্বর-সর্দি-কাশির সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে আসছে যে তাদের বেড দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে হাসপাতালগুলিকে। এদের মধ্যে বেশ কিছু শিশুর ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাও দেখা গিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, পর্যাপ্ত সংখ্যক বেড না থাকায় একটা বেডেই রাখা হচ্ছে দুই থেকে তিনজন বাচ্চা এবং তাদের মায়েদের।
advertisement
সূত্রের খবর, কলকাতা মেডিক‌্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ২০টি সিসিইউ বেড রয়েছে। সেগুলির প্রতিটিই ভর্তি। হাসাপাতালে ভর্তি হওয়া ২০টির শিশু অ্যাডিনো পজেটিভ। তাদের মধ্যে ১৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অন্যদিকে, বি সি রায় শিশু হাসপাতাল মোট বেডের সংখ্যা ৫০০। তারমধ্যে আইসোলেশন বেড ৫০টি। সবকটিই ভর্তি। ভেন্টিলেটর যুক্ত বেড রয়েছে ৪৮টি। সেগুলিরও সবকটি ভর্তি। জ্বর, শ্বাসকষ্ট এবং কাশি নিয়ে ৯০টির বেশি শিশু ভর্তি।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: শহরে অ্যাডিনো-আতঙ্ক! জ্বর হলেই বাচ্চাকে উল্টোপাল্টা ওষুধ নয়, আগে দেখে নিন পুরসভা কী বলছে..
অন্যদিকে, নতুন করে বেড রাখা হয়েছে বেলেঘাটা আই ডি হাসপাতালে। সেখানে ২৫টি বেড এখনও চালু করা হয়েছে। দরকারে আরও বাড়ানো হবে জানানো হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালেও দেখা যাচ্ছে এই একই সমস্যা। এএমআরআই মুকুন্দপুরে ৬৬ টি শিশু ভর্তি জ্বর- সর্দি-কাশির সমস্যায়। ১০টি সিসিইউ বেডের ৮ টিতেই শিশু ভর্তি রয়েছে। পার্ক স্ট্রিটের ভাগীরথি নেওটিয়াতেও একই সমস্যা। ২১টি বেডের ৭টি এনআইসিইউ। শতকরা ৯০% শিশুই জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি। মনিপাল হসপিটালে ৭টি শিশু ভর্তি। ২টি অ্যাডাল্ট সিসিইউ-কে শিশুদের জন্য কনভার্ট করতে হয়েছে এই পরিস্থিতিতে।
advertisement
প্রসঙ্গত, বিসি রায় হাসপাতাল, ন্যাশনাল মেডিক্যাল, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, বাঁকুড়া, মালদা মেডিক্যাল কলেজে এবার শিশু চিকিৎসার হাব করা হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও সতর্ক করা হয়েছে অ্যাডিনোভাইরাস নিয়ে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Adenovirus: শহরজুড়ে অ্যাডিনোভাইরাসের আতঙ্ক! জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে একরত্তিদের ভিড়, কিন্তু বেড কই..
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement