#নয়াদিল্লি: বিশ্ব খাদ্য দিবসে ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন অফ ইউনাইটেড নেশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে, বিশ্ব জুড়ে কোভিড ১৯-এর সংক্রমণে যত না মানুষের মৃত্যু হবে, তার থেকে খেতে না পেয়েই মারা যাবেন প্রায় ৮ থেকে থেকে ১০ কোটি মানুষ! আরেকটু সহজ করে বললে কল্পনাতীত এক দুর্ভিক্ষ নেমে আসতে চলেছে পৃথিবীর বুকে। যার ইঙ্গিত মিলল বিশ্ব খাদ্য দিবসে৷ কেন এই পরিসংখ্যান পেশ করা হল, সে কথায় আসার আগে এই বিশ্ব খাদ্য দিবসের মাহাত্ম্যের কথা জেনে নেওয়া যাক! প্রতি বছর ১৬ অক্টোবর সারা বিশ্ব জুড়ে এই দিনটি উদযাপন করা হয়ে থাকে। কারণ, এই দিনেই প্রথম তৈরি হয়েছিল ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন অফ ইউনাইটেড নেশনের ভীত। ১৩০টি দেশের খাদ্য, খাদ্যাভ্যাস এবং তার সঙ্গে জুড়ে থাকা সমস্যা নিয়ে কাজ করতে করতে আজ সংস্থা পা রাখল ৭৫ বছরে। মানে, আজ ৭৫তম বিশ্ব খাদ্য দিবস! সেই উপলক্ষ্যে ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন অফ ইউনাইটেড নেশন ( Food and Agriculture Organization of the United Nations)যে রিপোর্ট পেশ করেছে, তা অনেকটা এই রকম: ১. ২০২০ সালের বিশ্ব খাদ্য দিবসের থিম বৃদ্ধি, পুষ্টি এবং টিকে থাকা! এই তিন বিষয় নিয়েই আপাতত জোরদার লড়াই চালাতে হবে পৃথিবীকে। কারণ সংস্থার রিপোর্ট বলছে যে, আপাতত সারা পৃথিবীতে মাত্র ৯টি প্রজাতির উদ্ভিদ ফসলের জোগান দেয়। এদের থেকে যে শস্য পাওয়া যায়, তা প্রয়োজনের তুলনায় মাত্র ৬৬ শতাংশ! স্বাভাবিক, ফলনই যদি কম হয়, তাহলে খাদ্যের জোগান কোথা থেকে আসবে৷ মানুষ তো না খেতে পেয়ে মারা যাবে! ২. এমনিতেই প্রতিদিন পৃথিবীর বুকে প্রচুর অভুক্ত থাকেন! তার উপরে ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন অফ ইউনাইটেড নেশনের রিপোর্ট বলছে যে, খিদের মুখে যথেষ্ট খেতে না পাওয়া এবং একেবারেই না খেতে পাওয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছবে ২০৫০ সালের মধ্যেই! ৩. ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন অফ ইউনাইটেড নেশন জানিয়েছে, ২০১৯ সালের মধ্যেই না কি পৃথিবীতে না-খেতে পাওয়া মানুষের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে উল্লেখযোগ্য ভাবে! তার উপরে ২০২০ সাল থেকে চলা লকডাউন পরিস্থিতিতে কাজ হারিয়েছেন অনেকেই। সব মিলিয়ে বিশ্বে উপার্জনের পথ আরও কঠিন হবে। মানে বাড়বে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা, সংক্রমণের চেয়েও বেশি না খেতে পেয়ে মারা যাবেন অনেকে!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: World Food Day