চেয়ে খেতে লজ্জা? অতিমারীতে নিঃস্ব মানুষের সঙ্কোচ কাটাতে অভিনব উপায় 'কর্মহীন' মহিলার

Last Updated:

এক সময়ে যাঁদের অবস্থা স্বচ্ছল ছিল, তাঁরা চট করে চেয়ে খেতে পারেন না। খিদেয় কষ্ট পেলেও লাইন দিতে পারেন না লঙ্গরখানায়।

#নিউ ইয়র্ক: যাঁরা ছোট থেকেই বড় হয়েছেন দারিদ্র্যসীমার নিচে, তাঁদের চেয়ে-চিন্তে খেতে কোনও দ্বিধা দেখা যায় না। নিষ্ঠুর মনে হলেও এটাই সত্যি যে তা না করলে অভুক্ত অবস্থায় তিলে তিলে এগিয়ে যেতে হবে মৃত্যুর দিকে। কিন্তু এক সময়ে যাঁদের অবস্থা স্বচ্ছল ছিল, তাঁরা চট করে চেয়ে খেতে পারেন না। খিদেয় কষ্ট পেলেও লাইন দিতে পারেন না লঙ্গরখানায়। এই ব্যাপারটা যে তাঁকেও লজ্জা দিত এক সময়ে, সে কথা খোলাখুলি জানিয়েছেন নিউ ইয়র্কের সোফিয়া মনকায়ো।
সোফিয়ার গল্পটা অতিমারীতে চাকরি হারানো আরও অনেক বিশ্বগ্রামের বাসিন্দার মতোই! এক সময়ে তিনি কাজ করতেন এক কনস্ট্রাকশন কম্পানিতে, ভালোই মাইনে পেতেন। সংসার ছিল সুখের। স্বামীর সঙ্গে মার্শাল আর্ট শেখানোর একটা স্টুডিও খুলেছিলেন সোফিয়া নিউ ইয়র্কের সানিসাইডে। সব কিছু সুন্দর ছিল, জীবনযাত্রা ছিল মসৃণ। কিন্তু অতিমারী এক ধাক্কায় এনে দেয় বিপর্যয়ের মুখে। চাকরি চলে যায়। ধীরে ধীরে ফুরিয়ে যায় সঞ্চয়। পাঁচ মাসের ভাড়া বাকি থাকায় তালা পড়ে যায় মার্শাল আর্ট স্টুডিওর দরজায়।
advertisement
এই সময়ে বাধ্য হয়ে যে সব সংস্থা বিনামূল্যে খাবার দিত, তাদের লাইনে গিয়ে দাঁড়িয়েছি। বাস্কেট হাতে সংগ্রহ করেছি যা কিছু প্রয়োজন। কিন্তু সব সময়েই সেই কাজ করার সময়ে মনে মনে একটা ভীষণ লজ্জাবোধ হত। সব সময়ে মনে হত- কেউ দেখে ফেলছে না তো! পরিচিত কেউ দেখলে কী ভাববে, সেই দুশ্চিন্তাতেই আরও গুটিয়ে যেতাম হীনম্মন্যতায়, জানিয়েছেন সোফিয়া। পাশাপাশি এটাও জানাতে ভোলেননি যে সেই কারণেই খাবার সাজিয়ে রেখে তিনি আর তাঁর দল কখনও সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন না, তাকিয়ে তাকিয়ে দেখেন না কারা এসে কী নিয়ে যাচ্ছেন!
advertisement
advertisement
সোফিয়ার এই গল্পের দ্বিতীয় ভাগটা কিন্তু গতে বাঁধা নয়। এই অসহায়তার জীবন প্রত্যক্ষ করেছেন বলেই তিনি এক সময়ে এসে দাঁড়ান মোজেইক ওয়েস্ট ক্যুইনস চার্চের পাশে। তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে শুরু করেন নিঃস্বের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার উদ্যোগ। সোফিয়া জানিয়েছেন যে তাঁরা মূলত কাঁচা খাবার দান করেন। যা নিকটবর্তী নানা গ্রামের চাষিরা তাঁদের সংস্থায় দিয়ে যান। সেই সব বেছে, পরিষ্কার করে তাঁরা সাজিয়ে দেন জনতার সামনে। তার পর সেই জায়গা ছেড়ে চলে যান।
advertisement
মূলত খ্রিস্ট ধর্মের দান এবং তা নিয়ে গর্ব না করার আদর্শেই এখন সব হারিয়েও অন্যকে সুখী রাখার জীবনশৈলী নিয়ে ব্যস্ত সোফিয়া। তাঁর কথায়- এখন আমরা সপ্তাহে দু'বার ১০০০ বাক্স করে খাবার সরবরাহ করতে পারি!
view comments
বাংলা খবর/ খবর/বিদেশ/
চেয়ে খেতে লজ্জা? অতিমারীতে নিঃস্ব মানুষের সঙ্কোচ কাটাতে অভিনব উপায় 'কর্মহীন' মহিলার
Next Article
advertisement
‘লোকের দু’টো বউ থাকতে পারে, আমার বান্ধবী থাকতে পারে না...? অর্পিতাকে নিয়ে এবার মুখ খুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়
‘লোকের দু’টো বউ থাকতে পারে, আমার বান্ধবী থাকতে পারে না..? অর্পিতা ইস্যুতে মুখ খুললেন পার্থ
  • ‘অর্পিতা আমার বান্ধবী, তাতে অসুবিধার কী আছে...?’

  • অর্পিতা নিয়ে এবার মুখ খুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়

  • অর্পিতাকে নিয়ে ‘রং চড়িয়ে’ সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে বলে দাবি

VIEW MORE
advertisement
advertisement