Pakistan Army: গুলিতে ঝাঁঝরা হাফিজ সঈদের নিকট আত্মীয়! একে একে খতম হচ্ছে লস্করের তহবিল রক্ষকেরা, পিছনে কে? পাক সেনা, নাকি...
- Published by:Satabdi Adhikary
- news18 bangla
Last Updated:
প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, আক্রমণকারী দোকানে জিনিসপত্র কিনতে এসেছিল। সিসিটিভি ক্যামেরার ছবিতে দেখা যাচ্ছে, দোকানে উপস্থিত আব্দুল রেহমানের কাছ থেকে জিনিসপত্র কিনতে এসেছিলেন এক ব্যক্তি। তারপর তাকে গুলি করার পর সে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
করাচি: ভরা বাজারে মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ সঈদের আত্মীয়কে গুলি করে খুন করা হল পাকিস্তানে৷ তা-ও প্রকাশ্য দিবালোকে৷ যে পাকিস্তান এত বছর ধরে হাফিজকে নিরাপদ আশ্রয় দিয়ে এসেছে, সেই পাকিস্তানেই কি না সঈদের তহবিল রক্ষক খুন? বিষয়টি ভাবাচ্ছে ভারতকে তো বটেই, গোটা আন্তর্জাতিক মহলকেই৷ সোমবার সকালে পাকিস্তানের করাচিতে মাত্র ১০ সেকেন্ডের অপারেশনে হাফিজ সঈদের আত্মীয় এবং সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার অন্যতম সদস্য তথা তহবিল সংরক্ষক আব্দুল রেহমানকে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় বলে জানা গিয়েছে। শার্প শ্যুাটার হওয়ার পাশাপাশি এই আব্দুল রহমান হাফিজের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার জন্য টাকা তোলার কাজ করত।
গত কয়েক বছর ধরে, সন্ত্রাসবাদের কর্তাব্যক্তিদেক নিয়ে পাকিস্তান খুবই উদ্বিগ্ন। একদিকে, বেলুচিস্তানে, বিএলএ অর্থাৎ বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি এবং তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের বিদ্রোহীরা ক্রমাগত পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। পাশাপাশি, পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের দেশে, অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা জঙ্গিদের একে একে নিকেশ করে চলেছে। যে ব্যক্তি এদিন হাফিজ সঈদের ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে, তাকে কেউ দেখেনি এবং কেউ তাকে চিনতেও পারেনি। গোটা বিষয়টি নিয়ে তৈরি হয়েছে ঘোরতর ধোঁয়াশা৷
advertisement
advertisement
প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, আক্রমণকারী দোকানে জিনিসপত্র কিনতে এসেছিল। সিসিটিভি ক্যামেরার ছবিতে দেখা যাচ্ছে, দোকানে উপস্থিত আব্দুল রেহমানের কাছ থেকে জিনিসপত্র কিনতে এসেছিলেন এক ব্যক্তি। তারপর তাকে গুলি করার পর সে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। হামলার পরেই হাফিজ সইদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী আব্দুল রেহমানকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। সম্প্রতি, অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীরা ফয়সল নাদিম ওরফে আবু কাতাল সিন্ধিকেও হত্যা করেছিল। দাবি করা হচ্ছে যে, এই আবু কাতাল জঙ্গি হাফিজ সইদের ভাগ্নে। শনিবার রাত ৮টায় ঝিলাম জেলায় অজ্ঞাতপরিচয় মুখোশধারী ব্যক্তির গুলিতে নিহত হন তিনি।
advertisement
মার্চের শুরুতে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাথে যুক্ত আইএসপিআর অফিসার মেজর দানিয়াল পেশোয়ারে অজ্ঞাত হামলাকারীদের হাতে নিহত হন । ২০১৬ সালের ১৭ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুল্লায় ভারতীয় সামরিক কনভয়ের উপর ভয়াবহ হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই দানিয়াল। সূত্র মতে, পেশোয়ারে কিছু অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে মেজর দানিয়াল নিহত হন৷ ঘটনাস্থলেই তাঁকে গুলি করে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়। হামলাকারীদের এখনও শনাক্ত করা যায়নি, তবে এই হামলার পিছনে কারা রয়েছে তা নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে।
advertisement
সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাকিস্তানের উপর চাপ রয়েছে। হাফিজ সঈদ লস্কর-ই-তইবার প্রতিষ্ঠাতা৷ ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার মতো বড় সন্ত্রাসবাকী হামলার জন্য দায়ী এই সইদ৷ বর্তমানে আমেরিকা সহ বহু দেশই চায় সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর ধ্বংস হোক। সেই কারণেই কি পাকিস্তানি সেনাবাহিনী একে একে কেটে ফেলছেহাফিজ সইদের হাত পা?
advertisement
দ্বিতীয় যে যুক্তিটি শোনা যাচ্ছে, তা হল লস্কর-ই-তইবা এবং সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়ার মধ্যে ক্ষমতার লড়াই চলছে। দু’জনেই একে অপরের লোকদের টার্গেট করছে। হাফিজ সইদের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের হত্যা করে, জামাতের লোকেরা তাদের নেতা হওয়ার চেষ্টা করছে। সূত্র বলছে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরাও এতে তাদের সহায়তা করছে। এটাও সম্ভব যে বেশ কয়েকটি কারণ একত্রিত হয়ে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে।
দেশের সব লেটেস্ট খবর ( National News in Bengali ) এবং বিদেশের সব খবর ( World News in Bengali ) পান নিউজ 18 বাংলায় ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইন নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
West Bengal
First Published :
March 31, 2025 6:10 PM IST

