বড়দিনে কী কী খান ব্রিটেনের রানিমা? প্রাক্তন রাঁধুনির ফিরিস্তি চোখ কপালে তুলবে!

Last Updated:

এর পর বিকেলের চায়ের পালা। নানা রকমের অ্যাসরটেড কেক, স্যান্ডউইচের সঙ্গেই ঐতিহ্যবাহী ক্রিসমাস কেক এই সময়ে সবাই খেয়ে থাকেন।

#লন্ডন: রাজপরিবারের ব্যাপার-স্যাপার তো অন্যদের চেয়ে আলাদা হবেই! হাজার হোক, রাজপরিবারের সদস্যরা বংশানুক্রমিক ভাবেই এগিয়ে থাকেন অন্যদের চেয়ে আভিজাত্যে এবং বিত্তের নিরিখে। কাজেই আসন্ন বড়দিনে যেখানে খুব সাধারণ পরিবারও সাধ্যমতো ভোজের ব্যবস্থা করে থাকে, সেখানে রাজপরিবারের আয়োজনটা যে চোখধাঁধানো হবেই, তা হিসেবের মধ্যেই পড়ে!
কিন্তু এ ক্ষেত্রে বিস্ময়ের কারণটা অন্য। পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথও (Queen Elizabeth II) ৯৪ বছর বয়সে বড়দিনের পুরো মুহূর্তটা জুড়ে যে ভাবে ভোজনে মগ্ন থাকেন, তা একটু অবাক করে দেয়। অবশ্য ভেবে দেখলে রানির এই ভোজনের ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। প্রথমত তিনি দীর্ঘ দিন ধরে এমন খাদ্যসম্ভার গ্রহণ করে অভ্যস্ত। তা ছাড়া, সবার উপরে যে প্রথাকে মান্যতা দিয়ে থাকেন রানি, সে কারও অজানা নয়।
advertisement
তা, রাজপরিবারের প্রচলিত প্রথা মেনে বড়দিনে রানি এবং বাকি সদস্যেরা কী খেয়ে থাকেন, সম্প্রতি সে কথা হ্যালো নামের পত্রিকাকে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন রাজপরিবারের প্রাক্তন রাঁধুনি ড্যারেন ম্যাকগ্র্যাডি। তাঁর বক্তব্য, নিঃসন্দেহেই বড়দিনের নৈশভোজ হয়ে থাকে রীতিমতো জমকালো। তবে মধ্যাহ্নভোজটা মোটের উপরে সাদামাটাই হয়!
advertisement
এলিজাবেথ তো বটেই, যুবরানি ডায়ানার (Princess Diana) জন্যও এক সময়ে রেঁধেছেন ড্যারেন। সেই অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলছেন যে বাঁধাধরা নিয়মে বড়দিনের দুপুরে ব্রিটেনের এই রাজপরিবার টার্কি রোস্ট খেয়ে থাকে। একটি টার্কি রোস্ট করা হয় রানি এবং তাঁর পরিবারের জন্য, আরেকটি বাচ্চাদের নার্সারির জন্য, আরও কতগুলো প্রাসাদের বাকিদের জন্য বরাদ্দ থাকে।
advertisement
এর পর বিকেলের চায়ের পালা। নানা রকমের অ্যাসরটেড কেক, স্যান্ডউইচের সঙ্গেই ঐতিহ্যবাহী ক্রিসমাস কেক এই সময়ে সবাই খেয়ে থাকেন।
রাত নামলে টেবিলে একের পর এক সুখাদ্য বিছিয়ে দেন রাঁধুনিরা। ড্যারেন বলছেন যে প্রতি বছর নৈশভোজের তালিকায় ফোয়া গুরা আন ক্রুট থাকবেই। স্টিলটন চিজ সহযোগে এই ট্রাফল উপভোগ করে রাজপরিবার, যা হ্যারডসের দোকান থেকে আসে।
advertisement
ড্যারেন এই প্রসঙ্গে দুই অজানা তথ্য জানিয়েছেন সবাইকে। বলেছেন, খাওয়ার শুরুতে রানি এবং রাজপরিবারের বাকিরা রাঁধুনিদের উদ্দেশে টোস্ট করে কৃতজ্ঞতা জানান। অর্থাৎ ওয়াইনের গ্লাস হাতে তুলে ধরে তাঁরা রাঁধুনিদের স্বাস্থ্যকামনা করে তবেই খাওয়া শুরু করেন।
দ্বিতীয় তথ্যটি মিষ্টিমুখ নিয়ে। ড্যারেন বলছেন যে প্রতি বছরেই বড়দিনের ডেসার্টে সুফলে থাকে। যুবরানি ডায়ানা এই পদটি খুব ভালবাসতেন। সবার খাওয়া হয়ে গেলে তাই তিনি নিয়মিত ভাবে হানা দিতেন রান্নাঘরে, খোঁজ নিতেন সুফলে বেঁচে গিয়েছে কি না!
বাংলা খবর/ খবর/বিদেশ/
বড়দিনে কী কী খান ব্রিটেনের রানিমা? প্রাক্তন রাঁধুনির ফিরিস্তি চোখ কপালে তুলবে!
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement