#লন্ডন: করোনার (Covid19) টিকা আবিষ্কার হলেও এখনও বাজারে আসেনি করোনার ওষুধ। এমন কোনও ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল নেই যা করোনাকে প্রতিরোধ করতে পারে। এ বার সেই দিকেই পা বাড়াতে চলেছে ইংল্যান্ড। সে দেশের বাজারে আসতে চলেছে প্রথম বাড়িতে চিকিৎসা করার করোনার ওষুধ। ওমিক্রন (Omicron) সংক্রমণের উদ্বেগের মুখে এই ওষুধের আগমন আশার আলো জাগিয়েছে অনেকের মনে।
একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুসারে, Molnupiravir নামে ওই ওষুধটি হয়ত বড়দিনের আগেই প্রয়োগ করতে শুরু করবে ইংল্যান্ড। সম্প্রতি এই কথা জানিয়েছেন সে দেশের স্বাস্থ্য সচিব সাজিদ জাভিদ। জাতীয় স্তরে এই ওষুধ প্রয়োগের একটি পাইলট প্রজেক্ট শুরু করতে চলেছে ইংল্যান্ড। কী ভাবে দেওয়া হবে এই ওষুধ? প্রশাসনের তরফ থেকে বলা হয়েছে এটি পৌঁছে দেওয়া হবে করোনায় অতিরিক্ত কাবু হয়ে পড়া মানুষদের কাছে। তাঁদের শরীরে করোনা ধরা পড়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে দেওয়া হবে এটি।
আরও পড়ুন: দেশে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে পাঁচ, নতুন আক্রান্তের সন্ধান দিল্লিতে
প্রশাসনের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, এটি শরীরে করোনার প্রভাব অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারবে। মানে হয়ত করোনার কারণে যাঁদের হাসপাতালে ভর্তি হতে হত বা জীবন সংশয় তৈরি হতে পারত, এই ওষুধ তাঁদের শরীরে সেই সম্ভাবনার পরিমাণ অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারবে। ফলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সংখ্যা অনেকটাই কমিয়ে আনা যাবে বলে মনে করছে প্রশাসন। এই পদক্ষেপকেই যুগান্তকারী এক পদক্ষেপ বলে মনে করছেন ইংল্যান্ডের প্রশাসনিক কর্তারা। যদিও ওষুধ নিয়ে রয়েছে মতবিরোধও। ইংল্যান্ডের প্রধান স্বাস্থ্য অধিকর্তা এই ওষুধ নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার পরেই একটি সাংবাদিক বৈঠকে বলেছিলেন, ওষুধটির প্রয়োগের বিষয়ে প্রশাসনের আরও সতর্ক হওয়া উচিত। কারণ, ওমিক্রন সংক্রমণের ক্ষেত্রে শরীরে এটি কী ভাবে প্রতিক্রিয়া তৈরি করবে তা এখনও জানা হয়নি।
আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরুর বাসিন্দাদের সাবধান থাকার নির্দেশ, ১০ আফ্রিকা ফেরত বাসিন্দাকে খুঁজে পাচ্ছে না প্রশাসন
এই ওষুধটি তৈরি করেছে মার্কিন ওষুধ নির্মাণকারী সংস্থা Merck। প্রস্তুতকারক সংস্থার তরফ থেকে বলা হয়েছে কী ভাবে শরীরে কাজ করবে এটি। প্রথামিক ভাবে এই ওষুধটি শরীরে ভাইরাসের প্রতিলিপিকরণ বন্ধ করে দেবে। যার ফলে শরীরে ভাইরাসের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে, যা ছড়িয়ে পড়া থেকে মানুষকে বাঁচাবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Corona Virus COVID 19