Nirav Modi: নীরব মোদিকে ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশ, দেশে ফেরানো শুধু সময়ের অপেক্ষা!

Last Updated:

Nirav Modi: প্রায় ৭০০০ কোটি টাকার প্রতারণা করে লন্ডনে পালিয়ে গিয়েছিলেন হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদি।

দেশে ফেরানো হবে মোদিকে?
দেশে ফেরানো হবে মোদিকে?
#নয়াদিল্লি: বড়সড় জয় পেল কেন্দ্রীয় সরকার। পলাতক নীরব মোদিকে ভারতে ফেরানো এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র! সব রাস্তা পরিষ্কার! এ-দিন ইংল্যান্ডের আদালত হিরে ব্যবসায়ীকে প্রত্যর্পণের নির্দেশ বহাল রেখেছে। খারিজ করে দিয়েছে নীরব মোদির আবেদন। ফলে বড়সড় ধাক্কা খেল ওই পলাতক ব্যবসায়ী।
প্রসঙ্গত, প্রায় ৭০০০ কোটি টাকার প্রতারণা করে লন্ডনে পালিয়ে গিয়েছিলেন হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদি। এর পর অর্থনৈতিক অপরাধী আইন, ২০১৮ অনুযায়ী বিশেষ পিএমএলএ আদালত ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে 'পলাতক' বলে ঘোষণা করে নীরব মোদিকে। এমনকী তাঁকে অর্থনৈতিক অপরাধীর তকমাও দেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ লন্ডন থেকে নীরব মোদিকে গ্রেফতার করে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড পুলিশ। এর পর তাঁকে দক্ষিণ পশ্চিম লন্ডনের ওয়ান্ডসওয়ার্থ জেলে রাখা হয়।
advertisement
নীরব মোদির বিরুদ্ধে ৭ হাজার কোটি টাকা কেলেঙ্কারির অভিযোগ:
নীরব মোদির বিরুদ্ধে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ৭০০০ কোটি টাকা তছরূপের অভিযোগ রয়েছে। আর এই কেলেঙ্কারির ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তিনি লন্ডনে পালিয়ে যান। বর্তমানে তিনি সেখানকার ওয়ান্ডসওয়ার্থ জেলে বন্দি। তার পর থেকেই ভারত সরকার নীরব মোদিকে দেশে ফিরিয়ে আনার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
advertisement
advertisement
প্রসঙ্গত, নীরব মোদি তাঁর কোম্পানি ফায়ারস্টার ডায়মন্ডসের মাধ্যমে ২০১৭ সালে আইকনিক রিদম হাউস বিল্ডিংটি কিনেছিলেন। তাঁর পরিকল্পনা ছিল, এটিকে ঐতিহ্যবাহী সম্পত্তিতে রূপান্তর করা। পিএনবি কেলেঙ্কারির টাকা দিয়েই নীরব মোদি বেশির ভাগ সম্পত্তি কিনেছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
advertisement
নীরব মোদির মামলার সালতামামি:
২০১৮ সাল – পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক নীরব মোদির বিরুদ্ধে পিটিশন দায়ের করে। সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে ২১৮ কোটি টাকা কেলেঙ্কারির অভিযোগ আনা হয়।
২০১৮-এর ফেব্রুয়ারি মাস – তদন্ত শুরু করে সিবিআই। এর পরে এই মামলায় নীরব মোদির ৫৬৭৪ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ইডি। এর মধ্যে রয়েছে সোনার গয়না, হিরে এবং তাঁর অফিস। এই ঘটনায় পিএনবি-র দুই আধিকারিক এবং নীরব মোদির কোম্পানির সিএফও-কেও গ্রেফতার করা হয়।
advertisement
২০১৮ সালের জুন মাস – ইন্টারপোল নীরব মোদির বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিশ জারি করে। একই সঙ্গে বিশেষ আদালতে পিটিশনও দাখিল করে ইডি।
২০১৮ সালের অগাস্ট মাস – নীরব মোদিকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য ইংল্যান্ডের কাছে আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় সরকার।
advertisement
২০১৯ সালের মার্চ মাস – লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার আদালত নীরব মোদির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ ব্রিটেনের স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড পুলিশ লন্ডন থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে। দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনের ওয়ান্ডসওয়ার্থ কারাগারে রাখা হয় তাঁকে।
২০২০ সালের মে মাস – আদালতে নীরব মোদির প্রত্যর্পণ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।
২০২২ সালের নভেম্বর মাস – নীরব মোদিকে ভারতে প্রত্যর্পণের আদেশ বহাল রাখল আদালত। তবে এর পরেও তাঁকে ঠিক কবে দেশে ফেরানো যাবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে বিশেষজ্ঞ মহলের।
বাংলা খবর/ খবর/বিদেশ/
Nirav Modi: নীরব মোদিকে ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশ, দেশে ফেরানো শুধু সময়ের অপেক্ষা!
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement