The Whittaker Family: কুকুরের ডাকের মতো ঘেউ ঘেউ ও চিৎকার করে কথা বলে গোটা পরিবার, দেখেও বিশ্বাস করা কঠিন!

Last Updated:

The Whittaker Family | Viral News: ভিডিওতে দেখা যায়, পরিবারের সদস্যরা কুকুরের ডাকের মতো ঘেউ ঘেউ করে, কখনও চিৎকার করে কথা বলছেন। তাঁদের সঙ্গে বেশি কথা বললেই দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন অনেকে।

দ্য হুইটেকারদের তিন ভাই (সৌজন্যে -- মার্ক লাইটা ও সফট হোয়াইট আন্ডারবেলি চ্যানেল)
দ্য হুইটেকারদের তিন ভাই (সৌজন্যে -- মার্ক লাইটা ও সফট হোয়াইট আন্ডারবেলি চ্যানেল)
ভার্জিনিয়া: চোখে দেখার পরেও বিশ্বাস করা কঠিন মনে হতে পারে। কিন্তু সত্যি সত্যিই একটা পরিবার ছোটবেলা থেকেই একে অপরের সঙ্গে কথা বলে কুকুরের ডাকের মতো ঘেউ ঘেউ শব্দ ও চিৎকার করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম ভার্জিনিয়াতে বসবাসকারী দ্য হুইটেকার পরিবারের গল্প এখন গোটা বিশ্বে জনপ্রিয়। কারণ, তাঁদের কথোপকথন কুকুরের ডাকের মতো শব্দ করে। তাঁরা এককথায় 'অস্বাভাবিক'। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের ভিডিও দেখে অনেকেরই প্রশ্ন, 'কী করে সম্ভব এমন?'
মার্কিন এক ছবি নির্মাতা দ্য হুইটেকার পরিবারের সান্নিধ্যে আসার পরই তাঁদের কাহিনি গোটা পৃথিবী জানতে পারে। প্রযোজক মার্ক লাইটা পরে দ্য হুইটেকার পরিবারের বাড়িতে যান এবং সেখানে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন, সাক্ষাৎকার নেন। দ্য হুইটেকার পরিবারের সদস্যদের আচার-আচরণ ইউটিউবে ভিডিও ডকুমেন্টারির মাধ্যমে শেয়ারও করেন। সেখানেই দেখা যায় পরিবারের সদস্যরা কুকুরের ডাকের মতো ঘেউ ঘেউ করে, কখনও চিৎকার করে কথা বলছেন। তাঁদের সঙ্গে বেশি কথা বললেই দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন অনেকে।
advertisement
আরও পড়ুন: দুরারোগ্য অসুখে আক্রান্ত সেলিন ডিয়ন, টাইটানিকের গায়িকা চিরতরে হারাতে পারেন সুর!
ইউটিউবে 'সফট হোয়াইট আন্ডারবেলি' নামক চ্যানেলে দ্য হুইটেকার পরিবারের ভিডিওটি আপলোড করা হয়েছে। চার্লসটেন থেকে প্রায় ৭৫ মাইল দূরে পশ্চিম ভার্জিনিয়াতে একটি ছোট্ট গ্রামে থাকেন তাঁরা। দ্য হুইটেকার পরিবার প্রায় গোটা জীবন সেখানেই কাটিয়েছেন, কাটাচ্ছেন। ভাই-বোনরা একসঙ্গে থাকেন। তাঁদের বয়স ৬০ থেকে ৭০-এর মধ্যে। কয়েক বছর আগে এক ভাইয়ের হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়। বাড়ির সামনেই ফাঁকা একটি জায়গায় সেই দেহ কবর দেওয়া হয়েছে। বাড়িতে রয়েছে একাধিক পোষ্য কুকুরও।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: জীবনে একবারই চুল কাটেন এই পাহাড়ি গ্রামের মেয়েরা, অবিশ্বাস্য! দেখুন
পরিবারে এখন তিন ভাই ও দুই বোন। ভাইদের মধ্যে টিমি, রে ও ফ্রেডি। দুই বোন বেটি ও লরেন। ফ্রেডি করোনাকালে প্রয়াত হন। আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা সান-এর খবর অনুযায়ী, এঁদের মা-বাবা একে অপরের ভাইবোন ছিলেন। প্রত্যেকেই এখন প্রয়াত। যদিও জীবিত ছেলেমেয়েরা এই দাবি স্বীকার করেননি। তাঁদের বক্তব্য, পরিবারের প্রত্যেকে একে অপরের তুতো ভাইবোন। প্রযোজক মার্ক লাইটা জানিয়েছেন, নিজের ভাইবোনের মধ্যে বিয়ের ফলেই জিনগত কোনও সমস্যার শিকার তাঁদের সন্তানেরা। জিনগত জটিলতা ও চারিত্রিক সমস্যা রয়েছে টিমি-রে-লরেনদের।
advertisement
দ্য হুইটেকার ভাইবোনরা (সৌজন্যে -- মার্ক লাইটা ও সফট হোয়াইট আন্ডারবেলি চ্যানেল) দ্য হুইটেকার ভাইবোনরা (সৌজন্যে -- মার্ক লাইটা ও সফট হোয়াইট আন্ডারবেলি চ্যানেল)
প্রযোজক মার্ক লাইটা জানিয়েছেন, তিনি প্রথমবার ওই বাড়িতে যাওয়ার পর দেখেন সব কিছু কেমন নিয়ন্ত্রণহীন। একে অপরের সঙ্গে ঘেউ ঘেউ শব্দ ও চিৎকার করে কথা বলছেন প্রত্যেকে। চোখ একদিকে, যাচ্ছেন-দৌড়চ্ছেন-হাঁটছেন অন্যদিকে। অস্বাভাবিক গোটা বিষয়টাই। এমনকী প্যান্ট কোমর থেকে খুলে পড়ে গেলেও ভ্রুক্ষেপ নেই কারও। তবে ওঁদের কেউই ক্ষতিকারক বা ভয়ঙ্কর নন। অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গেই নিজেদের নিয়ে কথা বলেছেন দ্য হুইটেকার পরিবারের সদস্যরা। যদিও বেশি মানুষের সংস্পর্শে আসতে চান না তাঁরা। একাকীত্বে, নিজেদের মধ্যেই নিরাপদ অনুভব করেন প্রত্যেকে। মার্ক নিজেও ভিডিওতে দ্য হুইটেকারদের অকারণ দেখতে না যাওয়ার অনুরোধ করেছেন।
advertisement
প্রযোজক মার্ক আরও জানিয়েছেন, বর্তমানে পরিবারের প্রত্যেকেই নানা জটিল অসুখে আক্রান্ত। কেউ কেউ পরিষ্কার উচ্চারণ করতে পারলেও, কেউ কেউ একেবারেই কুকুরের ডাকের মতো ঘেউ ঘেউ ও চিৎকার করে থাকেন। নিজেদের মনের কথা বলতে ও বোঝাতে কষ্ট হয় তাঁদের। জিনগত সমস্যার কারণেই এমন হয় বলে জানা যায় বিভিন্ন লেখা ও গবেষণায়।
advertisement
বিশেষ কৃতজ্ঞতা-- মার্ক লাইটা ও সফট হোয়াইট আন্ডারবেলি ইউটিউব চ্যানেল
view comments
বাংলা খবর/ খবর/বিদেশ/
The Whittaker Family: কুকুরের ডাকের মতো ঘেউ ঘেউ ও চিৎকার করে কথা বলে গোটা পরিবার, দেখেও বিশ্বাস করা কঠিন!
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement