Longest Hair Village: জীবনে একবারই চুল কাটেন এই পাহাড়ি গ্রামের মেয়েরা, অবিশ্বাস্য! দেখুন

যেন সত্যিকারের রূপকথা। যেন সত্যি সত্যি রাপুনজেলের ছবি। যার লম্বা চুলের জন্য সকলের মনে রয়েছে সে। তেমনই বিশ্বের এক কোণে রয়েছে সবচেয়ে লম্বা চুলের মেয়েদের বাস। ই গ্রামের সব নারীর চুলই যে রাপানজেলের চুলের মতোই লম্বা।

কী করে এত লম্বা চুল হল তাঁদের? কারণ, এই পাহাড়ি গ্রামের মেয়েরা সারা জীবনে একবারই চুল কাটেন। দক্ষিণ চিনের কোনসি শুয়াং অঞ্চলের হুইংলা গ্রামের মেয়েদের মর্যাদার প্রতীক তাঁদের এমন দীর্ঘ চুল। ওঁদের চুল প্রায় ৬ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়।

এমন চুলের জন্য নানা ধরনের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয় গ্রামের মেয়েদের। একটি হল গ্রামের পাশের জিনসা নদীতে গিয়ে গাঁজানো ভাতের মাড় দিয়ে মাথার ত্বক ও চুল ধোয়া।

কুইলি শহর থেকে গাড়িতে ঘণ্টা দুয়েক লাগে জিনসা নদীর তীরে অবস্থিত গ্রামটিতে পৌঁছতে। জনসংখ্যা প্রায় ৬০০। চারপাশের প্রকৃতি আশ্চর্য সুন্দর। তবে হুইংলা কিংবা হুইলাং ইয়াও গ্রামটি বিখ্যাত ওই একটি কারণেই, সেটি এখানকার মেয়েদের লম্বা চুল রাখার ঐতিহ্য।

গ্রামের সব মেয়েই ঐতিহ্যগতভাবে লাল পোশাক পরেন। হাজার বছর ধরে এভাবে চুল লম্বা করার চল তাঁদের মধ্যে রয়েছে। স্থানীয়দের বিশ্বাস, দীর্ঘ জীবন ও সৌভাগ্য বয়ে আনে লম্বা চুল।

চিনের এই গ্রাম বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছে 'লং হেয়ার ভিলেজ' বা 'লম্বা চুলের গ্রাম' হিসেবে। এখানকার মেয়েদের ঘন কালো চুলের ওজন হয় প্রায় ১ কেজির মতো।

এখানকার মেয়েরা জীবনে একবারই তাঁদের চুল কাটেন। সাধারণত ১৮তম জন্মদিনে বা এর আশপাশের সময়ে। বলা হয় রেড ইয়াও মেয়েদের চুল কাটা মানে তাঁরা বিয়ের জন্য প্রস্তুত এটা জানিয়ে দেওয়া। মেয়েটির বিয়ে হওয়া পর্যন্ত তাঁর পরিবার ওই চুল সংরক্ষণ করে।

ভিনদেশি পর্যটকেরা গ্রামটিতে যান ওই চুলের খ্যাতির জন্যই। পর্যটকদের জন্য আছে মঞ্চ। গ্রামের মেয়েরা গৃহস্থালি কাজের পাশাপাশি প্রতিদিন ওই মঞ্চে ঐতিহ্যবাহী লাল পোশাক পরে দল বেঁধে গান ও নাচে অংশ নেন। সেখান থেকে তাঁদের আয়ও হয়।