# নয়াদিল্লি : জাহাজডুবির প্রসঙ্গ এলেই আমাদের সবার আগে মনে পড়ে যায় টাইটানিক-এর কথা! পড়বেই, কিছু করার নেই! এর জন্য কিছুটা দায়ী ছায়াছবি, বাকি দায় টাইটানিক নিয়ে অনবরত প্রকাশিত নানা লেখালিখির খাতে বর্তায়! অনেকে বলতেই পারেন তার নেপথ্য কারণ এই জাহাজের বিশালত্ব, তার সঙ্গে প্রযুক্তিগত দক্ষতা। পাশাপাশি মর্মান্তিক প্রাণহানির পরিসংখ্যানটাও বাদ দিলে চলবে না।
কিন্তু এই সবকটি তথ্যই কিন্তু কোনও না কোনও জাহাজডুবির ক্ষেত্রে আংশিক বা পূর্ণ ভাবে সত্যি! সম্প্রতি বাল্টিক সাগরের তলা থেকে যে জাহাজটি আবিষ্কার করা হয়েছে, তার ক্ষেত্রেও এটাই প্রযোজ্য। কিন্তু এই সব কিছু ছাপিয়ে গিয়েছে আরেকটি চমকপ্রদ ব্যাপার। দীর্ঘ চার শতক জলের তলায় ডুবে থাকলেও জাহাজটি এতটুকুও ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি- সে প্রায় অবিকৃত অবস্থাতেই আছে!
আরও পড়ুন - IPL 2020: শারজায় ফের ঝড়, ডিভিলিয়ার্স ধামাকায় রুদ্ধ হল যানচলাচল, দেখুন ভাইরাল ভিডিও
প্রায় বলার একটা কারণ রয়েছে। মাছ ধরার ভারি জাল ডুবে গিয়ে জাহাজের মাস্তুলে জড়িয়ে যাওয়ার ফলে যেটুকু ক্ষতি হতে পারে, সেটুকুই হয়েছে বলে প্রকাশ পেয়েছে খবরে। বাকি সব কিছু আছে একেবারে ঠিকঠাক!
জানা গিয়েছে যে ডুবন্ত জাহাজ আবিষ্কার এবং গবেষণা করার কাজে বেডওয়েন নামে ফিনল্যান্ডের যে সংস্থা কাজ করে চলে, তারই এক স্বেচ্ছাসেবী ডুবুরি বাল্টিক উপসাগরের খাঁড়িতে, জলের তলা থেকে আবিষ্কার করেছেন এই জাহাজটিকে। তথ্য বলছে যে এটি একটি ডাচ বাণিজ্যতরী!
আর এই জায়গা থেকেই ঘটনার গুরুত্ব নিয়ে সচেতন হতে বলছেন সুইডেনের স্টকহোম ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক নিকোলাস এরিকসন। তাঁর মতে এই জাহাজ নিয়ে ঠিক ভাবে গবেষণা এগোলে বাল্টিক উপসাগরীয় এলাকার সঙ্গে নেদারল্যান্ডের বাণিজ্যিক সম্পর্কের বিষয়ে আলোকপাত করা সম্ভব হবে। তা ছাড়া জাহাজটির গঠনের দিকেও গুরুত্ব আরোপ করেছেন তিনি। বলেছেন যে সপ্তদশ শতকের এই জাহাজটি নিঃসন্দেহেই ঔপনিবেশিকতা এবং তার বিস্তারের মাধ্যম হিসেবে অনন্য!
বেশ কথা! কিন্তু এত বছর ধরে সমুদ্রের তলায় ডুবে থেকেও কী ভাবে অবিকৃত রইল এই জাহাজ? লবণের স্বল্প পরিমাণ, তাপমাত্রা এবং আলোর সঠিক অনুপাতের কারণে বাল্টিক উপসাগরের সমুদ্রতলে জাহাজ বেশ ঠিকঠাকই থাকে, দাবি এরিকসনের!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।