Pakistan Army: কার্গিল যুদ্ধের সময় দেহ ফেরাতে চায়নি পাকিস্তান, সেই শহিদ ক্যাপ্টেনকেই ঘটা করে শ্রদ্ধা সেনাপ্রধান অসিম মুনিরের!
- Published by:Debamoy Ghosh
- news18 bangla
Last Updated:
নিজের দেশ মুখ ফেরালেও পাক সেনার এই নিহত ক্যাপ্টেনকে তাঁর প্রাপ্য মর্যাদা দিয়েছিল ভারতীয় সেনা৷
১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধে নিহত হওয়ার পর তাঁকে নিজেদের সেনা বলেই স্বীকৃতি দেয়নি পাকিস্তান৷ এমন কি, দেহও ফেরাতে রাজি হয়নি ইসলামাবাদ৷ কার্গিল যুদ্ধের ২৬ বছর পর কার্গিল যুদ্ধে নিজেদের সেই শহিদ সেনা জওয়ানকেই শ্রদ্ধা জানালেন পাক সেনাপ্রধান অসিম মুনির৷
১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধে ভারতীয় সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন পাক সেনার ক্যাপ্টেন কার্নাল শের খান৷ কিন্তু সেই সময় পাকিস্তান তাঁকে নিজেদের বাহিনীর সদস্য বলেই মানতে চায়নি৷ অথচ গতকাল সেই শহিদ সেনা আধিকারিকের মৃত্যুবার্ষিকীতে খাইবার পখতুনখাওয়া প্রদেশে নিহত সেনা কর্তার স্মৃতিসৌধে হাজির হয় আন্তরিক সমবেদনা এবং শ্রদ্ধা জানান পাক সেনাপ্রধান অসিম মুনির৷ যা পাকিস্তানের দ্বিচারিতাকে আরও একবার প্রকাশ্যে নিয়ে এল৷
advertisement
১৯৪৭ সাল এবং ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান সামরিক সংঘাতের সময়ও ইসলামাবাদ ভারতীয় বাহিনীর হাতে নিহত নিজেদের বহু সেনা জওয়ান এবং আধিকারিককে স্বীকৃতি দিতে চায়নি৷ কারণ ভারতের সঙ্গে সামরিক সংঘাতে জড়িয়ে মুখ পোড়ানোর পর দায় এড়াতেই এই পথ নিত ইসলামাবাদ৷ নিজেদের বাহিনীর সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বদলে নিহত সেনা জওয়ানদের মুজাহিদিন বলে দাবি করত পাকিস্তান৷
advertisement
advertisement
নিজের দেশ মুখ ফেরালেও পাক সেনার এই নিহত ক্যাপ্টেনকে তাঁর প্রাপ্য মর্যাদা দিয়েছিল ভারতীয় সেনা৷ ভারতীয় সেনার আধিকারিক ব্রিগেডিয়ার এমপিএস বাজওয়া (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) কার্গিল যুদ্ধের সময় ১৯২ মাউন্টেন ব্রিগেড-এর নেতৃত্বে ছিলেন৷ কার্গিল যুদ্ধে পাক সেনার দখল নেওয়া টাইগার হিলকে ফের নিজেদের দখলে আনার ভার পড়েছিল ব্রিগেডিয়ার বাজওয়া এবং তাঁর বাহিনীর উপরে৷ সেই লড়াইয়েই প্রাণ হারান ক্যাপ্টেন শের খান৷
advertisement
Field Marshal Syed Asim Munir, NI (M), Chief of Army Staff, Chairman Joint Chiefs of Staff Committee, Chief of Air Staff, Chief of Naval Staff and the Armed Forces of Pakistan solemnly commemorate and pay heartfelt tribute to Captain Karnal Sher Khan Shaheed, Nishan-e-Haider, on… pic.twitter.com/D62qjQqV0U
— DG ISPR (@OfficialDGISPR) July 4, 2025
advertisement
শত্রু পক্ষের হলেও নিজের দেশের হয়ে ক্যাপ্টেন খান যেভাবে সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেছিলেন, তাতে মুগ্ধ হয়েছিলেন ভারতীয় সেনার ব্রিগেডিয়ার বাজওয়াও৷ দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর দেহ ফেরানোর সময় ক্যাপ্টেন খানের সাহসিকতার প্রশংসা করে কয়েক লাইন লিখে তাঁর উর্দির পকেটে একটি চিরকূট ভরে দিয়েছিলেন ব্রিগেডিয়ার বাজওয়া৷ শেষ পর্যন্ত এই চিরকূটই ক্যাপ্টেন খানের দেহ শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছিল৷
advertisement
ভারতীয় সেনার এই স্বীকৃতিই পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানের জন্য ক্যাপ্টেন খানের আত্মত্যাগের স্বীকৃতি দিতে সাহায্য করে৷ ক্যাপ্টেন খান কীভাবে নিজের দেশের জন্য তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, ভারতীয় সেনা অফিসারের লেখা ওই চিরকূট থেকেই তা জানা গিয়েছিল৷ শেষ পর্যন্ত, ক্যাপ্টেন খানকে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান মরণোত্তর নিশান-এ-হায়দার দিয়ে ভূষিত করা হয়৷
ক্যাপ্টেন খানের মতোই ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধে নিহত বহু সেনা আধিকারিক এবং জওয়ানের দেহ প্রথমে ফেরাতে অস্বীকার করে পাকিস্তান৷ এর পর ইন্টারন্যাশনাল কমিটি ফর দ্য রেড ক্রস (আইসিআরসি)-র মাধ্যমে ১৯৯৯ সালের ১২ জুলাই দেহগুলি ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে ভারত৷ যদিও ওই নিহত সেনা জওয়ান এবং পদাধিকারীদের নাম প্রকাশ্যে না আনার জন্য আইসিআরসি-কে অনুরোধ করে ইসলামাবাদ৷
advertisement
১৯৯৯ সালের ১৫ জুলাই ওয়াশিংটনের ভারতীয় দূতাবাস বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, কার্গিল যুদ্ধে নিজেদের সেনার ভূমিকা অস্বীকার করার জন্যই ক্যাপ্টেন খানের দেহ নিতে চাইছে না পাকিস্তান৷
দেশের সব লেটেস্ট খবর ( National News in Bengali ) এবং বিদেশের সব খবর ( World News in Bengali ) পান নিউজ 18 বাংলায় ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইন নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
July 08, 2025 4:29 PM IST