#নয়াদিল্লি: নিজেদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ঠিক করতে অনেকেই আমরা লটারির পিছনে ছুটি। যদি লেগে যায়, তা হলেই কেল্লাফতে! কিন্তু বহু বছর ধরে লটারির টিকিট কাটলেও সফল হন না এমন ব্যক্তির সংখ্যাই বেশি। কিন্তু অনেক সময়ে জ্যাকপট লেগেও যেতে পারে। তবে, সে হয়তো এক-দু'বার। কিন্তু পর পর ছ'বার লটারি লাগা মানে সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। এমনই হল মেরিডিয়ান নিবাসী এক ব্যক্তির সঙ্গে।
ব্রায়ান মস নামে ওই ব্যক্তি ছ'নম্বর বার জিতলেন লটারি। লটারি জিতে সাধারণত মানুষের যে সমস্ত ইচ্ছে থাকে, ব্রায়ানের সেটা একটু আলাদা। লটারির টাকায় কোনও ব্র্যান্ডেড জামা-কাপড় বা শখ মেটানো নয়, ভারতীয় মুদ্রার প্রায় ২ কোটি টাকা ওই ব্যক্তি সঞ্চয় করতে চান মেয়ের পড়াশোনার জন্য।
ইদাহো লটারির প্রতিদিনের সদস্য তিনি। প্রতিদিন একটি করে লটারির টিকিট কাটেন ব্রায়ান। এর পিছনেও একটি অন্য কারণ রয়েছে। এই লটারির টিকিট যে তিনি শুধুই নিজে লটারি জেতার আশায় কেনেন এমন নয়। এই লটারির টিকিট বিক্রি করে যে টাকা পাওয়া যায় তা ইদাহো স্কুলের উন্নয়নের কাজে লাগে। যার ফলে সেই এই লটারির টিকিট তিনি রোজ কাটেন।
ইদাহো লটারির টিকিটের এই টাকা শুধুই স্কুলের জন্য নয়, পরবর্তীতে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যও কাজে লাগে। বহু মানুষ তাই এই লটারি থেকে টিকিট কাটেন।
আরও পড়ুন আদালতের মামলার মাঝেই উকিল মাতলেন সঙ্গমে, দেখলেন সবাই বিস্ময়ে! তার পর?
একটি বিবৃতিতে ব্রায়ান বলেন, আমি গর্বিত, যে টাকা দিয়ে টিকিট কাটি, তা একটি ভালো কাজে লাগে এবং ইদাহো পাবলিক স্কুলের উন্নয়নে লাগে। এই করতে করতেই আমি লটারি জিতে গিয়েছি।
জেতা টিকিটের একটি ছবিও তিনি শেয়ার করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
বেশ কিছুদিন আগে দুবাই নিবাসী কেরালার এক ব্যক্তিও কয়েক লক্ষ টাকা জিতেছিলেন লটারির মাধ্যমে। তিনি লকডাউনে চাকরি হারিয়েছেন, ফলে সেই টাকা তাঁর সংসার চালাতে কাজে লেগেছে। কিছুটা তিনিও ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করেন।
ভারতে বর্তমানে মোট ১৩টি রাজ্যে লটারির প্রচলন রয়েছে। অসম, অরুণাচল প্রদেশ, গোয়া, কেরালা, মহারাষ্ট্র, মেঘালয়, মধ্যপ্রদেশ, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, পঞ্জাব, সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গ। বাকি রাজ্যে লটারি নিষিদ্ধ রয়েছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।