#লিমা: কালিদাস তাঁর বিখ্যাত কাব্য মেঘদূতম-এ লিখেছিলেন যে কামার্ত ব্যক্তির না কি চেতন-অচেতন জ্ঞান থাকে না! সে থাকতে না-ই পারে! তা বলে অন্যে তাঁর রতিক্রীড়া দেখে চলেছে সবিস্ময়ে, সেই বোধটুকুও কি থাকে না?
সম্প্রতি প্রকাশিত এক আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন অন্তত বোধশূন্যতার দিকেই ইঙ্গিত করছে। জানিয়েছে যে সম্প্রতি এ হেন বিস্ময়কর ঘটনাটি ঘটেছে পেরুতে। সেখানে করোনাভাইরাসের প্রকোপে আপাতত আদালত বন্ধ। কিন্তু আদালতের কাজ বন্ধ নয়। তাই বাড়িতে বসে ভিডিও কনফারেন্সে চলছে মামলার শুনানি। আর তার মাঝেই উদ্দাম যৌনতায় মেতে উঠতে দেখা গেল এক উকিলকে।
ওই উকিলের নাম হেক্টর সিপ্রিয়ানো প্যারাডেজ রোবলজ। জানা গিয়েছে, যে মামলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি, সেখানে পেরুর কুখ্যাত লোকাল ক্রিমিনাল গ্যাং লস জেড দে চাঞ্চামায়োর শুনানি চলছিল। ভার্চুয়াল সেশনে কনফারেন্স ভিডিও কলে যুক্ত ছিলেন সবাই। নিজের বক্তব্যটুকু কোনও মতে পেশ করেই আর অন্য দিকে নজর দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি রোবলজ। দেখা যায়, তিনি নিজেকে নগ্ন করে ফেলেছেন। এবং ঘরে উপস্থিত এক নগ্ন নারীর আহ্বানে সাড়া দিতে এগিয়ে চলেছেন। এর পর ভিডিওয় তাঁর রতিক্রীড়ার পুরোটাই দেখতে পান মামলার সঙ্গে যুক্ত সবাই!
আরও পড়ুন Jack Ma News: সেরা ব্যবসায়ীর তালিকা থেকে আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মাকে সরিয়ে দিল চিনা সরকার
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন ওঠে যে রোবলজ না হয় বাহ্যজ্ঞান হারিয়েছিলেন, কিন্তু অন্যরা কী করছিলেন? তাঁরাই বা পুরোটা দেখলেন কেন? যে মামলায় উপস্থিত অনেকে চেঁচিয়ে উঠে রোবলজকে সতর্ক করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু রোবলজ ভিডিও মিউট করে রাখায় কিছু শুনতে পাননি। অন্য দিকে, প্রধান বিচারপতি জন চাচুয়া টারেজ অনেক চেষ্টা করেও কনফারেন্স থেকে রোবলজকে বাদ দিতে পারেননি! ফলে, সব কিছু সবার চোখের সামনে ঘটে!
অনেকের কাছে ঘটনাটি হাস্যকর হলেও রোবলজের কেরিয়ারের পক্ষে আদপেই নয়। খবর বলছে যে আপাতত তাঁকে বেশ কয়েকটি মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আদালত অবমাননার দায়ে তাঁর শাস্তি তো হবেই, পাশাপাশি বরাবরের জন্য ওকালতি করার পথও বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। এই মর্মে এর মধ্যেই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে নিজেদের Facebook পেজে আইনি বিবৃতিও জারি করেছে সংশ্লিষ্ট বার অ্যাসোসিয়েশন।