#রিয়াধ: ইতিহাস সাক্ষী আছে, পবিত্র হজযাত্রা (Hajj) সময়ে সময়ে মুলতুবি রাখা হয়েছে, কখনও বা নির্দিষ্ট করা হয়েছে স্বল্পসংখ্যক জনসমাবেশে। পৌত্তলিকতার বিরোধিতা করে স্বয়ং হজরত মহম্মদও (Muhammad) একদা হজযাত্রায় অংশগ্রহণ করেননি বলে জানা যায়! আবার, হজযাত্রায় নেমে এসেছে মহামারীর প্রকোপ, সেই চিত্রও ধরা দিয়েছে সুদূর অতীতে। বর্তমান সময়ে যাতে ৩৫৭ হিজরির সেই মহামারীর ঘটনার মতো লোকক্ষয় না হয়, সেই জন্য গত বছর থেকেই করোনাবিধি মাথায় রেখে হজযাত্রা নিয়ে বেশ কিছু নিয়ম-কানুন নির্দিষ্ট করে দিয়েছে সৌদি আরব প্রশাসন। ২০২০ সালে মাত্র ১০ হাজার জন ব্যক্তিকে হজযাত্রার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এ বছর তা বেড়ে হয়েছে ৬ গুণ বেশি!
যদিও এই পরিসংখ্যান এখনও ধর্মাবলম্বীদের কাছে হতাশাব্যঞ্জক! জানা গিয়েছে যে চলতি বছরে হজযাত্রার জন্য অনলাইনে আবেদনপত্র দাখিল করা হয়েছিল প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষের কাছাকাছি, সঠিক ভাবে উল্লেখ করলে সংখ্যাটা ৫ লক্ষ ৪০ হাজার! সেই সুবিপুল আবেদনের ভিতর থেকে মাত্র ৬০ হাজার জন ব্যক্তিকে চলতি বছরের হজযাত্রার পক্ষে উপযুক্ত বলে সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং সেই মতো তীর্থযাত্রার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে সৌদি আরব প্রশাসনের তরফে। জানা গিয়েছে যে, শুক্রবার বেলা ১টার পর থেকে এই ৬০ হাজার জন হজযাত্রীর নামের তালিকা প্রকাশিত হবে, শুরু হবে রেজিস্ট্রেশনও। সেই সঙ্গে হজযাত্রার বুকিং এবং প্যাকেজ কেনার মতো বিষয়টিও শুরু হয়ে যাবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে এই যাত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রথমে যাঁরা আবেদনপত্র দাখিল করেছেন, কেবল তাঁদের বেছে নেয়নি সৌদি প্রশাসন। জানা গিয়েছে যে, এ ক্ষেত্রে বয়সসীমা নির্দিষ্ট করা ছিল ১৮ বছর থেকে ৩৫ বছর পর্যন্ত। সেই সঙ্গে বিশ্বের করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সৌদি আরবে যাঁরা আছেন, কেবল তাঁদেরই হজযাত্রার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন, বহির্বিশ্বের নাগরিকের দাবি এ ক্ষেত্রে স্বীকার করা হয়নি। সেই সঙ্গে জোর দেওয়া হয়েছে টিকাকরণের মতো বিষয়টিতেও। যাঁদের করোনা টিকার দু'টি ডোজ নেওয়া হয়ে গিয়েছে, প্রথম ডোজ নেওয়ার পর ১৪ দিন অতিক্রান্ত হয়েছে অথবা করোনা থেকে সেরে উঠেছেন- এমন নাগরিকদেরই চলতি বছরে হজযাত্রার অনুমতি দিয়েছে সৌদি আরব প্রশাসন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।