#হামবুর্গ: ৬১ বছর বয়সী রলফ বুখোলজ (Rolf Buchholz) তাঁর নাম গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। কিন্তু কে এই ব্যক্তি? কীসের জোরেই বা তাঁর গিনেস রেকর্ড?
জার্মানিতে বসবাসকারী রলফ নামে ওই ব্যক্তির শরীরে মোট চারশ তেত্রিশটি পিয়ার্সিং রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২৭৮টি ছিদ্রই রয়েছে তাঁর গোপনাঙ্গে।
এর আগে আমরা অনেকেই এমন কিছু মানুষের কথা শুনেছি যাঁরা বাইরের আঘাতে কোনও রকম ব্যথা অনুভব করেন না। জার্মানির রলফ তেমনই একজন মানুষ। অবাক লাগছে? হ্যাঁ এমন চমকে দেওয়ার মতোই ঘটনা ঘটিয়েছেন রলফ।
আরও পড়ুন- সিনিয়র অফিসারের কোলে বসে অশ্লীল নাচ মহিলা পুলিশকর্মীর! তুমুল ভাইরাল ভিডিও
জার্মানিতে বসবাসকারী ৬১ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি নিজের শরীরে অসংখ্য বার পিয়ার্সিং করিয়েছেন। সারা বিশ্বে রলফই এমন ব্যক্তি যিনি শরীরে সবচেয়ে বেশি পিয়ার্সিং করিয়েছেন। রলফের কথায় নিজের শরীরের বিভিন্ন অংশে পিয়ার্সিং করা তাঁর অন্যতম হবি। এই শখের বশেই প্রায় সাড়ে চার শতাধিক বারেরও বেশি শরীর বিঁধিয়েছেন রলফ। পিয়ার্সিংয়ে সাধারণত শরীরের কোনও স্থানে ছিদ্র করে কোনও মেটালের স্টিক ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল এই স্টিকের বেশির ভাগই তাঁর গোপনাঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বার পিয়ার্সিংয়ের রেকর্ড রয়েছে রলফের নামে। জার্মানির ডর্টমুন্ডে বসবাসকারী রলফ পিয়ার্সিংয়ের পাশাপাশি ট্যাটু করাতেও পছন্দ করেন। তাঁর শরীরের ৯০ শতাংশ ট্যাটুতে পূর্ণ। রলফের চোখের আইরিসে ট্যাটু নজর কেড়েছে নেটিজেনদের। পিয়ার্সিংয়ের পরবর্তীতে তাঁর যৌন জীবন কেমন জানতে চাইলে সে কথাও রলফ বেশ আনন্দের সঙ্গে শেয়ার করেছেন।
রলফের কথায় পিয়ার্সিংয়ের সঙ্গে যৌনতার কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি এবং তাঁর সঙ্গী আগের মতোই স্বাভাবিক যৌন জীবন কাটাচ্ছেন।
কবে থেকে শুরু হল পিয়ার্সিংয়ের এমন উদ্ভট খেয়াল? রলফের উত্তর, জীবনে ৪০ বছর বয়সে তিনি প্রথম পিয়ার্সিং করান। এর পর থেকে আর থেমে থাকেননি। এখন তার পুরো শরীর ট্যাটু এবং পিয়ার্সিংয়ে পূর্ণ।
আরও পড়ুন- সাপের মাংস খেয়ে মন খারাপ বিয়ার গ্রিলসের, ক্ষমাও চাইলেন প্রকাশ্যে!
রলফ টেলিকম শিল্পে কাজ করেন। এর সঙ্গে তিনি এও জানিয়েছেন যে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেদনাদায়ক ট্যাটু কোনটি! রলফের মতে, হাতের তালুর ট্যাটুটি তাঁকে সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিয়েছে। সাধারণ জীবনযাপনও অনেকখানি ব্যর্থ হয়েছিল ওই ট্যাটুটির জন্য।
শুধু হাতের তালুই নয়, পিয়ার্সিংয়ের কারণে অনেকবারই রলফকে ভুগতে হয়েছে। একবার তাঁর শরীর পরিবর্তনের কারণে সংযুক্ত আরব আমিরাতে তাঁকে প্রবেশের অধিকার দেওয়া হয়নি। বিমানবন্দরে তাঁকে ব্ল্যাক ম্যাজিসিয়ান হিসেবে ভুল করে আটকানো হয়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Germany, Guinness Book of World Records, Guinness World Records