#ওয়াশিংটন: মার্কিন কংগ্রেসের হিংসার ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে৷ এবার মুখ খুললেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন৷ মার্কিন কংগ্রেস, সংবিধান এবং সর্বোপরি গোটা আমেরিকার ওপর এই হামলা চলেছে বলে তাঁর মত৷ তবে এই ঘটনা কোনও একদিনের বা একটি উস্কানিমূলক বক্তব্য ঘিরে হয়নি, এটা ৪ বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসা বিষ রাজনীতির ফল, বলছেন বিল৷ এই ধরণের ভয়ঙ্কর হিংসা ছড়িয়েছে ৪ বছরের বেশি সময় ধরে মিথ্যে প্রচার, দেশের নীতির প্রতি অসম্মান এবং একে অপরের প্রতি বিশ্বাস হারানোর থেকে৷ বলছেন বিল ক্লিন্টন৷ তাঁর এই ট্যুইটের মধ্যে দিয়ে যে তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনকালের সময়টা ইঙ্গিত করছেন, তা স্পষ্ট৷ অর্থাৎ ট্রাম্পের শাসনকালে মার্কিন রাজনৈতিক এবং সামাজিক ব্যবস্থায় অধঃপতন হয়েছে, সেটা বোঝাতে চেয়েছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন৷ উল্লেখ্য তাঁর স্ত্রী হিলারি ক্লিন্টনকে হারিয়ে গতবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট হন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ এবার সেই ট্রাম্পের হার মেনে নিতে পারছেন না রিপাবলিকান দলের সমর্থকরা৷
Today we faced an unprecedented assault on our Capitol, our Constitution, and our country.
— Bill Clinton (@BillClinton) January 7, 2021
The assault was fueled by more than four years of poison politics spreading deliberate misinformation, sowing distrust in our system, and pitting Americans against one another.
মার্কিন নির্বাচনে হেরে ভোটে কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল৷ কিছুতে যেন ট্রাম্পের হার মানতে চাইছিলেন না তাঁর সমর্থকরা৷ বুধবার মার্কিন কংগ্রেসে যে ভাবে হামলা চালালেন তাতে স্তম্ভিত গোটা বিশ্ব। ঘরে বাইরে নিন্দিত হচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কারণ তাঁর উস্কানিমূলক মন্তব্যের পরেই এত বড় হামলা ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ইতিমধ্যেই ট্রাম্পের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ হয়েছে। ইন্সটাগ্রামও তাঁর অ্যাকাউন্ট ২৪ ঘন্টার জন্য রাখতে বাধ্য হয়েছে।
আরও পড়ুন "হার স্বীকার করে সমর্থকদের বলুন তাণ্ডব বন্ধ করতে!" ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বললেন বাইডেন...
এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত বাইডেনও । বাইডেন ট্যুইট করেছেন, 'আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তাঁর শপথ পূরণ ও সংবিধান রক্ষা করার জন্য আবেদন করছি৷ তিনি আরও বলেন এই ধরণের হিংসা বন্ধ হোক এবং টিভির পর্দায় এসে ট্রাম্প তাঁর সমর্থকদের এই ধরণের তাণ্ডব বন্ধ করতে নির্দেশ দিন৷ অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পও ট্যুইটের মাধ্যমে তাঁর সমর্থকদের হিংসা বন্ধ করার নির্দেশ দিতে বলেন৷ তিনি জানান যে তাঁর দল আইনরক্ষার পথে হাঁটে এবং সে কথা মাথায় রেখেই রিপাবলিকান দলের সমর্থকদের পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ৷
এই ঘটনার পর নিন্দার ঝড় উঠেছে বিশ্বজুড়ে৷ মার্কিন ক্যাপিটল হিলে এমন হিংসার ঘটনায় স্তম্ভিত সকলে৷ আমেরিকার তাণ্ডবের ঘটনা দুঃখজনক, বলেছেন মোদি৷ শুধু প্রধানমন্ত্রী মোদি নন, বহু রাষ্ট্রনেতা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন৷