প্রবাসে আনন্দের কান্ডারি, দক্ষিণী! তিন যুগ ধরে প্রবাসী বাঙালির মেলবন্ধনের সাক্ষী এই পুজো

Last Updated:

১৯৮৫ সালে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার টরেন্স শহরে জন্ম নেয় এই বাঙালি সংগঠন। কতিপয় উৎসাহী বাঙ্গালির হাত ধরেই জন্ম। উদ্দেশ্য একটাই বিদেশ বিভূঁইয়ে দেশকে কাছে আনা। বাঙালির সংস্কৃতিকে পরবর্তী প্রজন্ম এবং অন্যদেশীয়দের কাছে তুলে ধরা।

৩৭-এ পা দিল দক্ষিণী
৩৭-এ পা দিল দক্ষিণী
#ক্যালিফোর্নিয়া: দেখতে দেখতে ৩৭-এ পা দিল দক্ষিণী। ১৯৮৫ সালে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার টরেন্স শহরে জন্ম নেয় এই বাঙালি সংগঠন। কতিপয় উৎসাহী বাঙ্গালির হাত ধরেই জন্ম। উদ্দেশ্য একটাই বিদেশ বিভূঁইয়ে দেশকে কাছে আনা। বাঙালির সংস্কৃতিকে পরবর্তী প্রজন্ম এবং অন্যদেশীয়দের কাছে তুলে ধরা, আর মানুষের সাহায্যে আসা। সেই দক্ষিণীর হাত ধরেই ফি বছর দুর্গাপুজোয় মেতে ওঠেন বিস্তীর্ণ এলাকার বাঙালিরা। দুই বাংলাকে এক বিনি সুতোয় আশ্চর্যভাবে বেঁধে ফেলে দক্ষিণী।
তিন যুগ পেরিয়ে দক্ষিণী এখন সুবৃহৎ পরিবার; আদর্শে, আচরণে একেবারে মনের মানুষ, কাছের বন্ধু। মোহাভি ডেসার্ট-এর ধারে কাশ ফুল আর প্রশান্ত মহাসাগরের ওপরে পেঁজা তুলোর মেঘ মানেই দক্ষিণীর জয়ঢাকে কাঠি পড়লই। সপ্তাহান্তের পুজো পালন এবার অক্টোবর ৭-৯।কুশীলবরা কিন্তু ব্যস্ত বছরভর।
advertisement
টর‍্যান্স হাই স্কুলের ইতিহাসমন্ডিত অনিন্দ্যসুন্দর চত্বরে তিনটে দিন কেটে যায় ঠিক পাড়ার পুজোর আবেশেই। কুমোরটুলি থেকে ২০১৩-২০১৪ তে আনা প্রতিমা একেবারে ঘরের মেয়ে দশভূজা। প্রাঙ্গনে প্রবেশের আগেই দূর থেকে শোনা যায় লাঊডস্পিকারে নতুন-পুরোনো গান। ভেতরে একাধিক জটলায় শাড়ি-পাঞ্জাবিতে বাঙালিয়ানা। নতুন পোশাক আশাকের গন্ধমাখা আড্ডা, মায়ের সামনে আরতি থেকে পুষ্পাঞ্জলি দুবেলা ভুরিভোজ, তিন দিন ধরে অতিথি শিল্পীর মেলা।
advertisement
প্রতিবছর থাকে স্থানীয় থেকে কলকাতার শিল্পীদের নানা অনুষ্ঠান। ২০২২-এ মঞ্চ আলো করতে আসছেন সৌরেন্দ্র-সৌম্যজিৎ, বেনী দয়াল, এবং জয়তী চক্রবর্তী। শোনা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই নাকি হাউজ ফুল! ২০২০-র কোয়ারান্টাইনের সময়ে পুজো বন্ধ হয়নি, তবে পালন হয়েছিল ছোট পরিসরে। ২০২১-এ মাস্ক পরে ধুনুচি নাচ, সিঁদুর খেলা, সেতার-গান-কবিতা-নাটক হৈহৈ করেই হল। কোভিড পরবর্তী স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অনেকটাই ফেরত এসেছে, তাই এবার পুজো পালনের উত্তেজনার পারদ ঊর্ধ্বমুখী।
advertisement
বসুধৈব কুটুম্বকম-এর যে আদর্শে দক্ষিণীর গোড়াপত্তন, দেশি-বিদেশি-জাতি-ধর্ম-বয়েস-ভাষা নির্বিশেষে ‘সবারে করি আহ্বান’-এর তার আজকের ইউ-এস-পি ও সেই আত্মীকরণ। কচিকাচাদের নিয়ে তিন মাসের মহড়ায় যে নাটকের উপস্থাপনা হয় প্রতিবার, সেটা পুরোটাই সদস্যদের লেখা-সুর-কস্টিউম-গান-বাজনা-আলোকসম্পাত শিল্পীসত্ত্বার চমক। আরেক দিকে সারা বছর নীরবে কাজ করে শিল্পীবৃন্দ ফিবছর উপহার দেন নতুন নতুন নজরকাড়া মণ্ডপ।
চা, বিস্কুট, ঝালমুড়ি থেকে খিচুড়ি, লাবড়া, বেগুনী হয়ে মাছের ঝোল, পাঁঠার মাংস, আর মিষ্টিমুখ, কিছুই বাদ যায় না। আনন্দমুখর সময়ে বিগতপ্রাণ সদস্যদের কথা মনে পড়ে, তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়, মন ভারাক্রান্ত হয়। আবার পরবর্তী প্রজন্মকে পুজোয় সামিল হতে দেখে মনে হয়, দক্ষিণীর যৌথ পরিবারের দাক্ষিণ্যে এক টুকরো বাংলার ছত্রছায়া পরবাসকে নিজবাসই করে রেখেছে। দক্ষিণীর তরফে সাদর আমন্ত্রণ রইল সবাইকে। 'দিও তোমার পায়ের চিহ্ন এই বাটে।'
advertisement
প্রতিবেদন: প্রিয়দর্শী মজুমদার, ক্যালিফোর্নিয়া
Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
দেশের সব লেটেস্ট খবর ( National News in Bengali ) এবং বিদেশের সব খবর ( World News in Bengali ) পান নিউজ 18 বাংলায় ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইন নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
view comments
বাংলা খবর/ খবর/বিদেশ/
প্রবাসে আনন্দের কান্ডারি, দক্ষিণী! তিন যুগ ধরে প্রবাসী বাঙালির মেলবন্ধনের সাক্ষী এই পুজো
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement