ইতালির মিলানের লাগোয়া মারানেলো শহরেই ফেরারির সদর দফতর৷ করোনার দাপটে সেই শহরও এখন যেন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে৷ জনমানবশূন্য শহরে চারিদিকে শ্মশানের নিস্তব্ধতা৷ স্বভাবতই ফেরারির কারখানাতেও গাড়ি উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ৷ অথচ সংস্থার এক কর্তাই স্বীকার করেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতেও ফেরারির ব্যবসায় কার্যত কোনও প্রভাব পড়েনি৷
একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া ফেরারির এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ফেরারির গাড়ি কিনতে গেলে ১৮ মাস আগে তার বুকিং করতে হয় গ্রাহকদের৷ করোনার ধাক্কায় যেখানে গাড়ি নির্মাতা সংস্থাগুলির মাথায় হাত পড়েছে, সেখানে ফেরারির অগ্রিম বুকিং খুব একটা কমেনি বলেই দাবি করেছেন ফেরারির সিইও লুইস ক্যামিলার৷ তাঁর কথায়, 'ইতালির বাইরে থেকে গ্রাহকরা আমাদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছেন৷'
তবে করোনার জেরে উৎপাদন বন্ধ থাকায় ২০২০-র শেষদিকে যে গাড়িগুলি ডেলিভারি হওয়ার কথা সেগুলি সময়ে গ্রাহকদের হাতে তুলে দেওয়া যাবে কিনা, তা নিয়ে নিশ্চিত নন সংস্থার সিইও৷
তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে ইতালির করোনা যুদ্ধে সামিল হয়েছে ফেরারি-ও৷ স্পোর্টস কার এবং রেসিং কার তৈরির অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে করোনা চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ভেন্টিলেটর তৈরি করছে সংস্থা৷