#বাংলাদেশ: ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরই সদ্যোজাত শিশুকে মৃত ঘোষণা করেছিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। বাবা ইয়াসিন শিশুটিকে নিয়ে যান আজিমপুর কবরস্থানে। কিন্তু সেখানে কবর দেওয়ার মত টাকা তাঁর কাছে ছিল না, কাজেই 'মৃত' সদ্যোজাতকে নিয়ে পৌঁছান রায়েরবাজার কবরস্থানে। চলছিল কবর খোঁড়ার কাজ, ঠিক সেইসময়েই আচমকা নড়েচড়ে ওঠে 'মৃত' শিশুটি, কেঁদে ওঠে! এরপর শিশুটিকে নিয়ে ফের ঢাকা মেডিক্যালে ছুটে আসেন ইয়াসিন।
জানা যায়, আপাতত শিশুটি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কীভাবে এরকম একটা ঘটনা ঘটল ? খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠনের কথা বলেছে মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, শুক্রবার ভোরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিশুটির জন্ম দেন শাহিনুর বেগম (২৭), গোপালগঞ্জের মালঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। বাবা ইয়াসিন বিআরটিসির বাসচালক। শিশুটি এই দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান।
ইয়াসিন জানান, স্ত্রীকে গত বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকেরা জানান, ব্লাড প্রেশার বেশি, সন্তান জন্ম না নেওয়া পর্যন্ত কমবে না। বুধবার রাতেই তাঁর স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসবের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু প্রসব না হওয়ায় তাঁকে ওয়ার্ডে রাখা হয়। শুক্রবার ভোরে শিশুটির জন্ম হয়।
ইয়াসিন আরও জানান, চিকিৎসকেরা তাঁর বাচ্চাকে মৃত ঘোষণার পর আজিমপুর কবরস্থানে নিয়ে যান। সেখানে কবর দিতে ১ হাজার ৫০০ টাকা লাগে। সেই টাকা না থাকায় কবরস্থানের লোকজনের পরামর্শেই রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে নিয়ে যান। সেখানে ৫০০ টাকা ফি দেওয়ার পর নবজাতকটির জন্য কবর খোঁড়া শুরু হয়। তখনই নড়ে ওঠে শিশুটি। শোনা যায় কান্নার আওয়াজ। দেখা যায় শিশুটি জীবিত! নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না বাবা ইয়াসিন! সম্বিত ফিরতেই সদ্যোজাতকে নিয়ে ছোটেন হাসপাতালে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই বর্তমানে চিকিৎসাধিন শিশুটি। আসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে,সদ্যোজাত ভাল আছে।