#নয়াদিল্লি: প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নথিতে সরাসরি স্বীকার করে নেওয়া হয়েছিল যে, দেশের মাটিতে চিনা সেনা অনধিকার প্রবেশ করেছে ৷ লাদাখ কাণ্ডের ৩ মাস পর এই নথিটি প্রকাশিত হয়৷ তবে এই তথ্য আপলোডের দু’দিনের মাথায় তা নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছে! অর্থাৎ এই তথ্যটি আর সেখানে নেই!
সাইটে গিয়ে এই তথ্য খুঁজতে গেলে ক্লিক করতে গেলে দেখাচ্ছে যে, এই URL-টি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না৷ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় অধিগ্রহণ পরিবর্তে যদিও অতিক্রান্ত শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছিল৷
৫ মে ২০২০ থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় আগ্রাসন বেড়েছে ৷ বিশেষ করে গালওয়ান উপত্যকায়৷ কুংরাং নালা, গোগরা, প্যাংগম তসো লেকের উত্তর দিকে চিনা সেনা অতিক্রম করেছে৷ চিনা আগ্রাসন নিয়ে এই নতুন তথ্য জানানো হয়েছিল মন্ত্রকের তরফে৷
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে আসা ওই ডকুমেন্টে লেখা ছিল যে, দুই দেশের মধ্যে এই সমস্যা দীর্ঘমেয়াদি এবং এটা মেটাতে সঠিক পদক্ষেপ প্রয়োজন৷ যদিও সরকারের পক্ষ থেকে এখনও অধিগ্রহণের কথা স্বীকার করা হয়নি৷ এমনকী, ৫-৭ মে প্যাংগং লেক এলাকায় দুই দেশের মুখোমুখি সংঘর্ষের পরও৷ যে তথ্যটি সেই কথা সরকারি ভাবে জানিয়েছিল তা এখন আর নেই কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র জানান যে, তিনি এই নথি দেখেননি৷
Chinese aggression has been increasing along the LAC & more particularly in Galwan Valley since 5th May 2020. Chinese side transgressed into the areas of Kugrang Nala, Gogra and north bank of Pangong Tso lake on May 17 –18 2020: Defence Ministry on its major activities in June pic.twitter.com/YG9rbp7C89
— ANI (@ANI) August 6, 2020
এই নিয়ে ফের সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি৷ তিনি প্রশ্ন তুলেছেন যে, কেন প্রধানমন্ত্রী মিথ্যাচার করছেন? যে তথ্যটি প্রকাশিত হয়েছিল, তিনি সেই তথ্যটি ফের চেয়ে আপলোড করার দাবি জানিয়েছেন৷
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রা রাজনাথ সিং জানিয়েছিলেন যে, কিছু চিনা সেনা কিছুটা এগিয়ে এসেছে ঠিকই তবে দেশের মাটি অধিগ্রহণের কথা তিনি স্বীকার করেননি৷ এই নিয়ে তথ্যের ভুল ব্যাখা করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান৷
আরও পড়ুন Breaking: প্রয়াত বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা শ্যামল চক্রবর্তী
দুই দেশের কমান্ডার স্তরের ৫ দফা বৈঠকের পরও যে জায়গাগুলির দখল নিয়েছে বেজিং সেখান থেকে তারা সরতে নারাজ বলে জানা গিয়েছে৷ ভারতের অভিযোগ, এখনও প্যাংগং তাসো হ্রদ, ফিঙ্গার পয়েন্ট, গোগরা, হটস্প্রিং থেকে পিছু হঠেনি চিনা সেনা৷ ফলে ভারতও ওই এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করেনি৷ যে কারণে ওই জায়গাগুলিতে এখনও সংঘাতের পরিস্থিতি থেকেই গিয়েছে৷ চিনের দাবি খারিজ করে ভারত স্পষ্ট জানিয়েছে, পূর্ব লাদাখে এখনও সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি৷