#নয়াদিল্লি: গত এক সপ্তাহে লাদাখের তাপমাত্রা মাইনাস ১২ থেকে ১৬ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে৷ বোঝাই যাচ্ছে যে মারাত্মক ঠান্ডায় হাত-পা জমে যাওয়ার মতো অবস্থা৷ কিন্তু এই তাপমাত্রাটা অনুভব করা যাচ্ছে৷ কিন্তু ভারত চিন-সীমান্ত রীতিমতো ফুটছে৷ যে তাপামাত্রার আঁচ শরীরে পড়ছে না৷
দীর্ঘ আট মাস হয়ে গেল এখনও অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। দুই দেশের সেনা এখনও পরস্পরের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে। লাদাখ সমস্যা মেটাতে আজ অর্থাৎ রবিবার নবম দফার বৈঠকে বসছে ভারত-চিন৷ চুসুল সেক্টরের মোল্ডোতে হবে উচ্চ পর্যায়ের সেনা বৈঠক৷ এখনও লাদাখ সীমান্তে দেশের ৫০ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে৷ দুই দেশ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বিভিন্ন পয়েন্টে সেনাবাহিনীর সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয়করণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই আজ আলোচনা করবে৷
তবে এই বৈঠকে আদৌ কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান দুই পক্ষই৷ কারণ এখনও কোনও ভিত্তি খুঁজে পাওয়া যায়নি, যারওপর ভিত্তি করে রফাসূত্র পাওয়া যাবে৷
শনিবার থেকে রাফাল যুদ্ধবিমানে ভারত-ফ্রান্সের যৌথ মহড়া শুরু হল৷ ভারতীয় বিমান বাহিনীর যোধপুর বিমান ঘাঁটিতে পাঁচ দিন ধরে চলবে 'ডেজার্ট নাইট ২১'৷ ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রধান চিফ অফ এয়ার স্টাফ, এয়ার চিফ মার্শাল আরকেএস ভাদোরিয়া৷ এদিন তাঁর কাছে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে চলা পূর্ব লাদাখের ভারত-চিন অশান্তি(India-China Standoff) প্রসঙ্গে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) ভারতের অবস্থান জানতে চাওয়া হয়েছিল৷ ভাদোরিয়া বলেন, "চিন আগ্রাসন দেখালে, আমরাও আগ্রাসী হতে পারি"৷
ভাদোরিয়া আরও বলছেন যে, এলএসি-তে বিরাট সংখ্যায় চিনা সেনা মোতায়েন রয়েছে৷ তাদের কাছে রয়েছে বহু র্যাডার, সারফেস টু এয়ার মিসাইল ও সারফেস টু সারফেস মিসাইল৷ ভাদোরিয়া জানিয়ে দিয়েছেন যে, ভারত প্রস্তুত আছে৷ তাঁর বক্তব্য, "চিনা সৈন্য শক্তি বাড়িয়েছে, আমরাও যাবতীয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে রেখেছি৷" গত সপ্তাহে ভাদোরিয়া জানিয়ে ছিলেন যে, আন্তর্জাতিক আঙিনায় ভারত-চিন ভয়ঙ্কর বৈরিতা চিনের জন্য ভাল নয়৷
ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে, জল গলার মতো পরিস্থিতি ঠিক নেই৷ চিন বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে নিজেদের দাবি করলেও ভারত নরমে-গরমে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি পরিস্থিতি জটিল হলে তা সামলানোর জন্য যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে তিন বাহিনী। দুই দেশের লক্ষ্য আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সূত্র বের করা। গালওয়ানের সংঘর্ষের পর আর রক্তপাত চায় না কেউ। এই মুহূর্তে ভারতের পাশে আমেরিকা, ইজরায়েল ছাড়াও ফ্রান্স রয়েছে। কিন্তু চিন যতদিন না নিজেদের সৈন্য প্রত্যাহার করছে, ততদিন নিশ্চয়তা নেই।