যুদ্ধ বাঁধলে চিন নয়, ভারতের পাল্লাই ভারী থাকবে, জানুন দুই দেশের ক্ষমতা...

Last Updated:

India Vs China: রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ১৯৬২র থেকে পরিস্থিতি একেবারে বদলে গিয়েছে৷ ভারতের শক্তিবৃদ্ধি হয়েছে বিপুল হারে৷ দুই দেশের সামরিক বাহিনী ও অস্ত্রের ক্ষমতা বিচার করে বুঝে নিন বাস্তব চিত্র৷

#নয়াদিল্লি: কিছু দিন যাবৎ ভারত-চিন সীমান্তে উত্তপ্ত হচ্ছিল পরিস্থিতি৷ মঙ্গলবার রাতে যা চূড়ান্তে পৌঁছয়৷ ২০জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন৷ অনেকেই আহত৷ কাঁটা লাগানো লোহার রড দিয়ে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ ভারতীয় সেনাবাহিনীর আহত জওয়ানদের৷ মঙ্গলবার রাত থেকেই লাদাখের গালওয়ানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলাকায় ভারত চিন সংঘাত চরমে পৌঁছয়৷ পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতও৷ চিনেরও ৪৩ জন সেনা ভারতের পাল্টা জবাবে নিহত এবং আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে সংবাদসংস্থা এএনআই৷ শহিদের এই বলিদান ভোলা হবে না, জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি৷ এই সবের ফলে দুই দেশের মধ্যে তৈরি হয়েছে যুদ্ধ পরিস্থিতি৷ এখানেই প্রশ্ন উঠছে, যুদ্ধ শুরু হলে ক্ষমতা ও শক্তির নিরিখে কোন দেশকে এগিয়ে রাখা যাবে৷
advertisement
বিশেষজ্ঞদের মতে, নানা দিক খতিয়ে দেখে, তাঁরা ভারতেকেই এগিয়ে রাখছেন চিনের থেকে৷ মার্কিন ওয়েবসাইট CNN-এর দাবি শেষবার যখন ভারত-চিন মুখোমুখি হয়েছিল, তখন থেকে বদলেছে পরিস্থিতি৷ ধীরে ধীরে অনেকটা শক্তি বাড়িয়ে ভারত৷ দুই দেশের ক্ষমতার মূল্যায়ন করলে কী দাঁড়ায়, দেখে নেওয়া যাক---
advertisement
পারমাণু শক্তি--
বিশ্বের কোনও দেশই চায় না একে অপরের বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে৷ ভারত ও চিনের ক্ষেত্রেও তাই৷ তবে জানিয়ে রাখা যাক যে, দুই দেশের হাতেই এই ক্ষমতা রয়েছে৷ ১৯৬৪-এ পারমাণবিক ক্ষমতাশীল দেশ হয় চিন৷ তবে ভারত সেই ক্ষমতার অধিকরী হয় ১৯৭৪ (১০ বছর পরে)৷
-স্টকহোম ইন্টারন্যাশনল পিসের রিপোর্ট অনুযায়ী গত বছর ভারতের হাতে আরও ১০টি পারমাণবিক অস্ত্র এসেছে৷
advertisement
-চিনের মোট ৩২০ পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে, ভারতের ক্ষেত্রে তা ১৫০টি৷
সামরিক ক্ষমতা-
-চিনের ২৭০টি ফাইটার জেট রয়েছে৷ ভারতের মাটিতে হামলা চালানোর জন্য ৬৮টি এয়ারক্রাফট রয়েছে৷
-এই বছর মার্চে বেলফার রিপোর্টে প্রকাশিত খবর যে, চিনা সীমান্তে ভারতীয় এয়ারবেসের সংখ্যা বহু৷ যার থেকে সহজেই আক্রমণ চালানো যাবে৷
-চিনা বায়ুসেনার ৮টি এয়ারবেস রয়েছে সীমান্তে৷ কিন্তু এগুলি মূলত অসামরিক এয়ারফিল্ডে অবস্থিত৷ সেখান থেকে হামলা চালানো কিছুটা মুশকিল৷
advertisement
-তিব্বত ও জিয়াংয়ং এয়ারবেস অনেকটা উঁচুতে৷ খারাপ আবহাওয়ার জন্য চিনা বিমান বেশি অস্ত্র নিয়ে উড়তে সক্ষম নয়৷
-বেলফার রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, ভারতের মিরাজ ২০০০ বা সু ৩০ সব সময়, সব আবহাওয়ায় উড়তে সক্ষম৷ কিন্তু চিনের জেট জে ১০ সেটা পারে না৷
advertisement
-সেনাবাহিনীর ক্ষেত্রে ভারত অনেকটা এগিয়ে৷ বলা হচ্ছে যে চিনের যুদ্ধের স্মৃতি বহু পুরোন৷ শেষবার ১৯৭৯-এ ভিয়েতনামের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সামিল হয়েছিল চিন যাতে তারা হারে৷ অন্যদিকে কাশ্মীরে প্রতিনিয়ত পাক সেনার বিরুদ্ধে লড়ে চলেছে ভারতীয় বাহিনী৷ কার্গিলের স্মৃতিও টাটকা৷ তাই অভিজ্ঞতার দিক থেকে অনেকটা এগিয়ে ভারত৷
advertisement
-তিব্বত ও LAC-তে ভারতের বাহিনীর সংখ্যা প্রায় ২২৫০০০৷ অন্যদিকে চিনে ক্ষেত্রে সেটা ২০০০০০ থেকে ২৩০০০০৷ এই সংখ্যাটা খুব সহজে বাড়িয়ে ফেলতে পারে চিন৷ কিন্তু খারাপ রাস্তার ফলে খুব সহজে চিন এই কাজটা করতে পারবে না৷ এমনকি অবস্থানগত সুবিধার জন্য তিব্বত সংলগ্ন রেলপথ উড়িয়ে দিতে পারে ভারত, যার ফলে খুবই সমস্যায় পড়তে পারে চিন৷
বাংলা খবর/ খবর/ভারত-চিন/
যুদ্ধ বাঁধলে চিন নয়, ভারতের পাল্লাই ভারী থাকবে, জানুন দুই দেশের ক্ষমতা...
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement