#নয়াদিল্লি: আলোচনার মাধ্যমে লাদাখ সমস্যার সমাধান কতদূর হবে, তা নিশ্চিত নয়৷ গত শুক্রবার লাদাখ সফরে গিয়ে এমনই মন্তব্য করেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং৷ এবার রাজনাথের সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই কংগ্রেস প্রশ্ন তুলল, তবে কি লাদাখে ভারতীয় ভূখণ্ডে চিনের দখলদারি মেনে নিল কেন্দ্রীয় সরকার?
কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা এ দিন সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, 'চিনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের নিশ্চয়তা নেই বলে কী বোঝাতে চাইলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী? মোদি সরকার কি তাহলে চিনা দখলদারির কথা স্বীকার করে নিল এবং মেনে নিল যে তারা এর সমাধান করতে পারবে না?'
সুরজেওয়ালা এ দিনও দাবি করেছেন, লাদাখে এখনও ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করে রয়েছে চিনের সেনা এবং তারা চলতি বছরের মে মাসের আগের অবস্থানে ফিরে যেতে রাজি নয়৷
কংগ্রেস মুখপাত্র আরও দাবি করেন, 'চিনা বাহিনী ভারতীয় সেনাকে প্যাট্রলিং পয়েন্ট ১০ থেকে ১৩ পর্যন্ত নজরদারির কাজ চালাতে দিচ্ছে না৷ তৃতীয়ত, ফিঙ্গার পয়েন্ট ৪ থেকে ফিঙ্গার পয়েন্ট ৮ পর্যন্ত ভারতীয় ভূখণ্ডের আট কিলোমিটার এলাকা দখল করে ৩ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে চিন৷'
তাঁর আরও দাবি, ভারতীয় সীমান্তের কাছে এনগারি গুনসা অসামরিক এয়ার স্ট্রিপকে সামরিক বিমান ঘাঁটিতে পরিণত করেছে চিন৷ যা ভারতের নিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে৷ চিন তাদের সীমান্তে ২০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে বলেও দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতা৷
লাদাখে বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে পিছু হঠার বিষয়ে ভারত এবং চিনের সেনা সহমতে পৌঁছলেও প্যাংগং তাসো হ্রদের কাছে ফিঙ্গার পয়েন্টগুলি এবং আরও কয়েকটি জায়গায় উত্তেজনা কমানো নিয়ে এখনও দু' পক্ষে আলোচনা চলছে৷ প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং অবশ্য লাদাখে গিয়ে দাবি করেছিলেন, বিশ্বের কোনও শক্তি ভারতের এক ইঞ্চি জমিও কেড়ে নিতে পারবে না৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।