হাওড়া: দুষ্প্রাপ্য নেপালের 'মহারু' বা মারু থেকে নেপালি টাকা জমিয়ে রাখাই নেশা হাওড়ার ইন্দনাথের! শুরুটা হয়েছিল ঠাকুরদার হাত ধরে। জানা যায়, ঠাকুরদা ললিত মোহন বাড়ুই সে সময় নেপালের প্রতি ভাল লাগা থেকেই নেপালি অর্থ সংগ্রহের নেশা জন্মায় তাঁর। তারপর ইন্দ্রনাথের বাবা বাসুদেব বাড়ুই সেই দায়িত্ব সামলান। বাসুদেবের কিছু সংগ্রহের পর এবার সেই দায়িত্ব এসে বর্তায় ছেলে ইন্দ্রনাথের কাঁধে। বংশ পরম্পরায় নেশা জন্মেছে।
নেপালের রাজ আমলের মোহর ও মুদ্রা থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রায় সমস্ত অঙ্কের নেপালি টাকা জমানো। তাও বিভিন্ন গভর্নরের স্বাক্ষর অনুযায়ী তাঁর সংগ্রহে। জানা যায়, একমাত্র নেপালে রাজ আমলে মহারু বা মারু প্রচলন ছিল। পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র তাতেই হিন্দু খাজাঞ্জি বা হিন্দু পণ্ডিতের স্বাক্ষর থাকত।
আরও পড়ুন: আবহাওয়ার খামখেয়ালীপনায় আলুর দাম হতে পারে আকাশছোঁয়া, আতঙ্কিত কৃষকরা
আরও পড়ুন: জলের জন্য তীব্র হাহাকার! পঞ্চায়েত ভোটের আগে ক্ষোভে ফুঁসছে গ্রাম
আর তাতেই আকৃষ্ট হন হাওড়ার বাড়ুই বাড়ির সদস্যরা। তা থেকেই এই সংগ্রহের শুরু। ইন্দ্রনাথ তখন দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। সেই সময় এক পয়সা, দু'পয়সা জমিয়ে ঋষি মনীষীর ছবি পোস্ট কার্ড কেনার নেশা ছিল। সেই কার্ড সাজিয়ে খেলার ছলে নিজের ঘরে প্রদর্শনি শুরু করা। তার পর একটু বড় হয়ে বিশিষ্ট সংগ্রাহক পরিমল রায় এবং শিল্পী রথীন মিত্রের মতো বিশিষ্ট গুণী মানুষদের সান্নিধ্যে এসে নিজেকেও একজন সংগ্রাহক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্য জন্মায় তাঁর। সংগ্রহের কাজে হাতে খড়ি শিল্পী রথিন মিত্রের কাছে।
তাঁর সংগ্রহে দুষ্প্রাপ্য নেপালি টাকা। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রদর্শন করতে থাকেন ইন্দ্রনাথ। এটাই তাঁর নেশা। গত ২৫ বছর ধরে এই প্রদর্শন করে চলেছেন হাওড়ার ইন্দ্রনাথ বাড়ুই।
রাকেশ মাইতি
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Howrah news