হাওড়া: ক্রিকেট, ফুটবল ঠিক আছে। হকি, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন, শুটিং, বক্সিং এগুলোও জানা। কিন্তু স্কেটিং কী খেলা? আজও গ্রামের বেশিরভাগ মানুষের কাছে স্কেটিং অজানা বিষয়। এমনিতেও এটা আর পাঁচটা সাধারণ খেলার থেকে অনেকটাই আলাদা। হাওড়া জেলায় এই খেলার প্রায় কোনও পরিকাঠামো নেই। তা সত্ত্বেও সব প্রতিকূলতাকে জয় করে বিশাল সাফল্য পেল পাঁচলার স্বর্ণালী ধামালি। প্রথমবার অংশগ্রহণ করেই জাতীয় স্তরের স্কেটিংয়ে দ্বিতীয় হয়েছে সে, রৌপ্য পদক জিতেছে। এখন দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন দেখছে স্বর্ণালী।
স্বর্ণালী ধামালির বয়স ১৪ বছরেরও কম। তার এই সাফল্যে খুশি পরিবার থেকে পাড়া প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন সকলে। অবশ্য স্বর্ণালীর পরিবারে খেলাধুলোর চল আছে। তার বাবা পুলিশে চাকরি করেন। তিনি বরাবর ফুটবল খেলেছেন। গোলরক্ষক হিসাবে এক সময় বেশ সুনাম ছিল তাঁর। মা মিনতী ধামালি জিমনাস্টিক্সে ছিলেন। মিনতী দেবী সফল হতে পারেনি। মাঝপথে থমকে গিয়েছিল তাঁর স্বপ্ন। কিন্তু মেয়েকে সফল করে তিনি তাঁর অপূর্ণ স্বপ্ন সার্থক করতে চান।
আরও পড়ুন: যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে, হল্ট স্টেশন চায় বুলন্ডির মানুষ
মেয়ের সাফল্যে গর্বিত বাবা সুব্রত ধামালি জানান, পাঁচ বছর বয়সে স্কুলেই প্রথম স্কেটিং শুরু করে স্বর্ণালী। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সে এই খেলাটির সঙ্গে আরও জড়িয়ে পড়ে। কলকাতার অ্যাকাডেমিতে সপ্তাহে দু'দিন প্র্যাকটিসে যায়। পড়াশোনা তো ভালো সে। জানা গিয়েছে, কলকাতায় আয়োজিত জাতীয় স্কেটিং প্রতিযোগিতায় এই সাফল্য পেয়েছে স্বর্ণালী ধামালি। যদিও তার বয়স কম হওয়ায় প্রথম দিকে অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছিল না। তবে শেষ পর্যন্ত ট্র্যাকে নামতে পারে। আর তাতেই আসে বড় সাফল্য।
স্কেটিং বোর্ড সহ এই খেলার অন্যান্য সাজ সরঞ্জামের বিশাল দাম। তা সত্ত্বেও হাল ছাড়তে নারাজ সুব্রত ধামালি। মেয়েকে সফল করে তুলতে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে চান।
রাকেশ মাইতি
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।