#হাওড়া: এই ডিজিটাল যুগে পাঠাগারগুলোতে পাঠক নেই বললেই চলে৷ অধিকাংশ পাঠাগার বন্ধের মুখে৷ এই পরিস্থিতিতে পাঠকদের লাইব্রেরিমুখী করতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে হাওড়ার একটি পাঠাগার৷
পাঠকদের পাঠাগারমুখী করে তুলতে কিছু পাঠাগার ডিজিটাইজেশন করেছে, আবার কিছু পাঠাগার নতুন নতুন পন্থা অবলম্বন করছে৷ তাতেও যেন পাঠকদের লাইব্রেরিমুখী করা যাচ্ছে না৷ বর্তমানে সর্বত্রই আধুনিকীকরনের ছোঁয়া। এক সময় কোনও কোনও পাঠাগারে ঢুঁ মারলেই দেখা যেত শয়ে শয়ে পাঠরত পাঠককে। কিন্তু বর্তমান ডিজিটাল মাধ্যমের যুগে, সেসব যেন অতীত।
ব্যতিক্রম হাওড়া জেলার শতাব্দী প্রাচীন পাঁচলা 'দেউলপুর পাবলিক লাইব্রেরি'। সেখানে প্রতিদিন নিয়মিত পাঠকরা আসেন পাঠাগারে। এই পাঠাগারে বইয়ের সম্ভার বিশাল। রয়েছে অসংখ্য বই৷ আলমারির পাশাপাশি টেবিল বা জানালায় থাক দিয়ে রাখা রয়েছে বহু বই। রয়েছে জ্ঞান-বিজ্ঞান, ধর্মচর্চা, কাব্যগ্রন্থ, গল্পের বই সহ জানা-অজানার বিশাল বইয়ের সম্ভার। যার কারণে বহু পাঠক-পাঠিকা এই লাইব্রেরিতে আসেন আজও!
আরও পড়ুন- এই গ্রামে কালী প্রতিমার দাম শুনলে চমকে যাবেন! ৩৫০ বছরের রীতি আজও অটুট!
প্রতিষ্ঠান সম্পাদক সুজিত বাঁক জানান, হাওড়া জেলায় যতগুলি সক্রিয় লাইব্রেরি আছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো দেউলপুর পাবলিক লাইব্রেরি। পাঠাগার কর্তৃপক্ষের অভিনব চিন্তাধারায় পাঠাগারে নিয়মিত আসছেন পড়ুয়ারা। এই পাঠাগার তার আপন ঐতিহ্য বহন করে চলেছে পাঠক পরিপূর্ণতা নিয়ে। সবরকম বইয়ের পাশাপাশি স্কুল-কলেজের পাঠ্য বইয়ের সম্ভারও রয়েছে৷ বিশেষ করে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পাঠকদের পাঠ্যবইয়ের ব্যবস্থা রয়েছে এই লাইব্রেরিতে৷ যা পেয়ে পাঠকরা দারুণভাবে উপকৃত হচ্ছেন। পাঠাগারে বসে পড়ার পাশাপাশি বই বাড়িতে নিয়ে গিয়ে পড়ারও ব্যবস্থা রয়েছে।
হাওড়া গোন্ডলপাড়া, গঙ্গাধরপুর, জুজারসাহা, বহরিয়া, জালালসি ও ওয়াদিপুর সহ আশেপাশের প্রায় ১০ থেকে ১২ টা গ্রামের পাঠকরা এখানে বই পড়তে আসেন।
Rakesh Maity
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।