Howrah Crime News: বাথরুমে গৃহবধূর অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ! পুড়িয়ে খুনের অভি‌যোগ বাপেরবাড়ির লোক, তোলপাড়

সূত্রে জানা যায়, রঘুদেববাটি বাসিন্দা গোবিন্দ নস্কর। আট বছর আগে বেটিয়ালির বাসিন্দা সুমিতা হাজরার সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন এবং তাঁর স্বামী অত্যাচার শুরু হয় বলে অভিযোগ। মৃতার বাপের বাড়ির লোকের অভিযোগ, টাকার জন্য প্রায়ই মারধর করত সুমিতাকে। গোবিন্দ এবং সুমিতার একটি ছয় বছরের কন্যাসন্তানও আছে।

জানা যায়, টাকার দাবিতে মাঝেমধ্যে ঝগড়া অত্যাচার চলত সুমিতার উপর। হঠাৎই শনিবার সকালে সুমিতার বাপের বাড়ির লোকেদের কাছে খবর যায়। ফোনে তাঁদের জানানো হয় সুমিতা পুড়ে আত্মহত্যা করেছেন। পরিবারের লোকজন সকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ এসে দেখে। বাথরুমে সারা শরীর পোড়া অবস্থায় পড়ে আছে। দেখেই পরিবারের লোকের সন্দেহ হয়।

তাঁদের অভিযোগ, সুমিতাকে মেরে পোড়ানো হয়েছে। মৃতার দাদা উত্তম বাছার জানায়, বোনকে মাঝেমধ্যেই মারধর করত ওরা। অভিযোগ, সুমিতার শাশুড়ি পর্যন্ত মারধর করত তাঁকে। সুমিতার মৃত্যুর জন্য দায়ী সুমিতার স্বামী, শাশুড়ি, জা এবং ভাসুর। এই ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবি মৃতার বাপের বাড়ির।

এ বিষয়ে মানিকপুর তদন্ত কেন্দ্রে মৃতের পরিবার অভিযোগ জানাতে পৌঁছয়। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় সাঁকরাইল থানার পুলিশ। অভিযুক্ত চারজনকে কঠোর শাস্তির দাবি জানায় পরিবারের লোকজন এবং আত্মীয় পরিজন। ঘটনা ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। শাশুড়ি, স্বামী, ভাসুর এবং জাকে মানিকপুর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ আটক করেছে। সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্তে পুলিশ।