রাহী হালদার, হুগলি: গঙ্গার পশ্চিম উপকূলের গ্রাম হুগলির গুপ্তিপাড়া। এখান থেকেই সূত্রপাত দেশের প্রথম বারোয়ারি পুজোর। বেঙ্গল গেজেট-এর তথ্য অনুযায়ী গুপ্তিপাড়ার বৃন্দবাসিনী বারোয়ারি জগদ্ধাত্রী পূজা হল প্রথম বারোয়ারি পুজো। বারোয়ারি কথাটি এসেছে ১২ জন বন্ধু বা 'বারো জন ইয়ার' থেকে। যাঁরা প্রথম শুরু করেছিলেন বারোয়ারি পুজো।
কথিত ইতিহাস অনুযায়ী, গুপ্তিপাড়ার স্থানীয় বাসিন্দারা দুর্গাপূজা দেখতে আসেন সেখানকার একটি জমিদার বাড়িতে। সেই সময়ের জমিদার গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে খুবই খারাপ ব্যবহার করেন। তাঁদের ঠাকুর দেখতে দেওয়া হয় না জমিদার বাড়ির। সেই সময় গ্রামের বেশ কিছু তরুণ এগিয়ে আসেন নিজেদের পুজো করার জন্য। আজ থেকে ২৭০ বছর আগে ১২ জন বন্ধু মিলে শুরু করেছিলেন শ্রী শ্রী বৃন্দবাসিনী জগদ্ধাত্রী মাতার পুজো। ইতিহাস রচনা করেন অবিভক্ত বাংলার প্রথম বারোয়ারির।
আরও পড়ুন : 'স্বপ্নাদেশে'ই মা কালীর পুজোর সূচনা হাওড়া শিবপুরের ছোট মুখার্জি পাড়ায়
হুগলি গেজেট থেকে শুরু করে বেঙ্গল গেজেট, ও নানা নামী সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে অবিভক্ত বাংলার প্রথম বারোয়ারির ইতিহাসের কথা। ১৮২০ সালে দি ফ্রেন্ডস অফ ইন্ডিয়া নামক সংবাদপত্রে প্রথম প্রকাশিত হয় গুপ্তিপাড়ার বৃন্দবাসিনী প্রথম বারোয়ারির কথা। এ ছাড়াও একাধিকবার সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে প্রথম বারোয়ারির ইতিহাসের কথা।
আরও পড়ুন : পুণ্যতিথিতে দণ্ডি পাঁচ হাজার পুণ্যার্থীর, সালঙ্কারা বড়মাকে দেখতে ভক্তদের ঢল
গুপ্তিপাড়ার বৃন্দবাসিনী জগদ্ধাত্রী পূজা শাক্ত ও বৈষ্ণব ধারার এক মেলবন্ধন। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, বারোয়ারি পুজোর আদি এই বৃন্দবাসিনী বারোয়ারির বর্তমানের অবস্থা খুবই সঙ্কটজনক। আর্থিক সঙ্কটের ফলে পুজোর ঐতিহ্য ও ইতিহাসকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হিমশিম খাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। একইসঙ্গে তাদের দাবি, প্রথম বারোয়ারি পুজো হওয়ার জন্য সরকারের তরফে তাদের কিছু স্বীকৃতি দেওয়া হোক।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।