Hooghly News: হাজার বছরের প্রাচীন কালিয়াগরের ডাকাত কালীর রোমহর্ষক কাহিনী, জানুন
- Published by:Pooja Basu
Last Updated:
হুগলির জিরাটে রয়েছে সবথেকে প্রাচীন ডাকাত কালী মন্দির। আজ থেকে প্রায় বহু বহু বছর আগে তৈরি হয় জিরাটের কালিয়াগড় এর ডাকাত কালী মন্দির।
#হুগলি: আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। আবারও দেবী দুর্গার আর এক রূপ মা কালীর আরাধনার সময়। চণ্ড ও মুণ্ড দুই অসুরকে বধ করার জন্য দেবী কালী রূপ ধারণ করেন। দেবী কালী শক্তির রূপ হিসাবে পূজিত হয়ে আসছেন বছর বছর ধরে। বিশেষত অতীতে ডাকাতদের দেবী ছিলেন দেবী কালী। হুগলির জিরাটে রয়েছে সবথেকে প্রাচীন ডাকাত কালী মন্দির। আজ থেকে বহু বহু বছর আগে তৈরি হয় জিরাটের কালিয়াগড় এর ডাকাত কালী মন্দির।
কথিত ইতিহাস অনুযায়ী, জিরাটের এই অঞ্চলে বসবাস করতেন কেলে ডাকাত। তারই অধিষ্ঠিত দেবী জিরাটের কালিয়াগড়ের ডাকাত কালী। কালীর গড় থেকে এই স্থানের নাম কালিয়াগড় হয়। আবার কারোর কারোর মতে যে ডাকাতের হাতে এই কালি মন্দিরের প্রতিষ্ঠা তার নাম ছিল কেলে ডাকাত, এবং তার নাম থেকেই এই স্থানের নাম হয় কালিয়াগড়। বলা হয় এই মন্দির দেবীর শক্তি পিঠ। একই সঙ্গে এটি দেবীর বলয় পিঠও।
advertisement
আরও পড়ুন - Malda News: ভূত চতুর্দশীতে পুজো হয় ইংরেজবাজার ব্যায়াম সমিতির মহাকালীর
এই মন্দিরের সঙ্গে রয়েছে আরও একটি কথিত ইতিহাস, আগে এক সময় এই মন্দিরের পার দিয়েই বয়ে যেতে গঙ্গা। কালের নিয়মে গঙ্গার বাক পরিবর্তন হওয়াতে নদীর অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। কিন্তু মন্দিরের লাগোয়া গঙ্গার ঘাট এখনও প্রমাণ দেয় অতীতের ইতিহাসের। শোনা যায় কালী ডাকাতের মৃত্যুর পর দেবী কালীর শক্তিপীঠ পরিত্যক্ত জঙ্গলে পরিণত হয়। আজ থেকে প্রায় ছয়শ বছর আগে গঙ্গার পশ্চিমপারের নদীয়া জেলা থেকে এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করার জন্য গঙ্গায় ঝাপ দেন।
advertisement
advertisement
অলৌকিকভাবে সেই ব্যক্তি ভাসতে ভাসতে এসে পৌঁছান নদীর পূর্ব পাড়ে জিরাটের ডাকাত কালীমন্দিরে। তিনি মা কালীর স্বপ্নাদেশ পান আবারও মা কালীকে পুজো করার জন্য। তারপর থেকেই আবারও শুরু হয় ওই মন্দিরে মা কালীর আরাধনা। মন্দিরের ফলক থেকে জানা যায়, এই মন্দির সতীর পীঠ গুলোর মধ্যে একটি। পুরাণ অনুসারে, দেবী সতীর দেহাংশ যেখানে আছে, সেগুলি শক্তিপীঠ, আর হাতের বালা বা বলয় যেখানে পরেছিল, সেগুলি বলয়োপ-পীঠ।
advertisement
আরও পড়ুন - BCCI Selection Committee: রজার বিন্নি আসতেই এবার চেতন শর্মার চাকরিতে কাঁচি! বোর্ডের অন্দরে জোর ফিসফাস
দেবীর মন্দিরের সামনে রয়েছে মহাদেব কালভৈরবের মন্দির। কিছু বছর অন্তর দেবীর মূর্তির পরিবর্তন করা হয় যদিও প্রাচীন মূল কাঠামোটি আজও একই রকম ভাবে অক্ষত রয়েছে। আগে এই মন্দিরে প্রচুর বলি হত। বর্তমানে সেই বলির প্রথা বন্ধ হয়েছে। সীমিত কিছু বলি হয় কারোর কোন মানত বা বিশেষ অনুষ্ঠান হলে। দেবী এখানে পূজিত হন তন্ত্র মতে।
advertisement
রাহী হালদার
view commentsLocation :
First Published :
October 19, 2022 6:28 PM IST