হুগলি: রাজ্য জুড়ে চলছে তীব্র দাবদাহ। মাঝে সাঝে বিকেলের স্বস্তির কালবৈশাখী আসলেও দিনের বেলায় চাঁদি ফাটা রোদ্দুরে নাজেহাল জনজীবন।মানুষজন তাকিয়ে আছে, কবে আসবে বর্ষা ! তাপপ্রবাহ থেকে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে অতীতে বাড়ির ঠাকুমা দিদিমারা পান্তা ভাত করে রাখতেন। যা খেলে গরমে একটু শরীর রেহাই পায়। আর সেই পান্তা ভাত মানুষজনকে খাইয়ে বর্ষাকে আহ্বান জানানো হলো হুগলির কারবালার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আরোগ্যর উদ্যোগে।
বিগত ১০ বছর ধরে বর্ষাকে আহ্বান জানানোর জন্য পান্তা উৎসব পালন করছে চুঁচুড়ার কারবালার বাসিন্দারা। বুধবার পান্তা উৎসব উপলক্ষে ভিড় ও ছিল চোখে পড়ার মতন। গরমের মধ্যে পান্তা ভাত কেনা খেতে ভালোবাসে ! তাও আবার সঙ্গে যদি থাকে একাধিক পদ। পান্তা উৎসব উপলক্ষে প্রায় ৬০০ মানুষকে পান্তা ভাত খাওয়ানো হয়, সঙ্গে থাকে একাধিক সুস্বাদু পদ। স্থানীয়দের বিশ্বাস, এই উৎসব পালন করলে বরুণদের তুষ্ট হন। তারপর থেকে এলাকায় তাপপ্রবাহ অনেকটাই কমে আসে। বিশ্বাসের মেলায় বস্তুত তর্কে বহুদূর ! বর্ষা না আসলেও একদিনের জন্য পান্তা খেয়ে শরীর মন শান্ত হয়ে এলাকার মানুষদের।
আরও পড়ুন: মৌসুমী-মৌমিতার বিয়ে! কেন করল তাঁরা এই বিয়ে? শুধুই কী প্রেমের টান! নেপথ্য কাহিনিতে বিরাট চমক!
এই বছরে পান্তা উৎসবে এলাহী আয়োজন ছিল। মেনুতে ছিল, পান্তা ভাত, সঙ্গে গন্ধরাজ লেবু কাচা পিয়াজ ও শুকনো লংকা ভাজা। সঙ্গে ছিল মাছের ডিমের বড়া, পিয়াজি, মসুর ডালের বড়া, মৌরোলা মাছের ঝাল, কাতলা কালিয়া, পাবদা মাছের ঝাল শেষ পাতে চাটনি, পাপড়, আম এবং কাঁঠাল। সমস্ত রান্না ও খাবার পরিবেশন এর জন্য এলাকার মানুষরাই এগিয়ে আসেন। এই বিষয়ে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্ণধার ইন্দ্রজিৎ দত্ত বলেন, পান্তাউৎসব এই বছর ১০ বছরে এসে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবছরই পান্তাউৎসব পালন করার মধ্যে দিয়ে বর্ষাকে আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে বাংলার প্রাচীন একটি খাবার পান্তা ভাত যা আজ প্রায় সমস্ত মানুষ ভুলে যেতে বসেছে তার উপকারিতা সেটি মনে করিয়ে দেওয়া হয়।
Rahi Haldar
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Chinsurah, Hooghly, Panta festival