হুগলি : কৌটো নাড়িয়ে অর্থ সংগ্রহ করা কমিউনিস্ট পার্টির জনসংযোগের একটি অন্যতম পন্থা। এতে যেমন পার্টি চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ করা যায় ঠিক তেমনি মানুষের সাথে পার্টির সর্ব স্তরের মানুষের জনসংযোগ হয়। মানুষ যেমন নিজের সাধ্য মতো টাকা বামপন্থী দের কৌটোয় দেয় তেমনই নিজের অভাব, অনটন, দুরবস্থার কথাও জানায়। পরবর্তীকালে পার্টির সদস্যরা সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ নিয়ে তার সুরাহা করার চেষ্টা শুরু করে। ২০১১ তে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে সিপিআইএম ও অন্যান্য বাম শরিক দলগুলি কৌটো নাড়িয়ে অর্থ সংগ্রহ করতে গিয়ে বিপাকের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। ভোট বাক্সের মতো জনসংযোগ কৌটো ছিল একদমই খালি। আশার থেকে হতাশারই প্রমাণ দিচ্ছিল তাদের জনসংযোগ কৌটো। তবে এই বছর তাদের জনসংযোগ কৌটোর ভাষা একদম অন্য।
আরও পড়ুন: TMC-র ১০ লক্ষ মানুষের সমাগম দাবি, BJP-র ২০০০! গেরুয়া শিবিরের ভাগ্য নির্ধারণ আজই
জেলা নেতৃত্বের দাবি গত ১ জুন থেকে হুগলি জেলার জেলা কমিটির সদস্যরা ১৮ টি ব্লক, ২১০ টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ১২ টি পুরসভা ও একটি পুরণিগম অঞ্চলে তাদের জনসংযোগ কর্মসূচি চালান। এবং তাতে সাধারণ মানুষের সাড়া মিলেছেও অভূতপূর্ব।এই কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে সিপিআইএম তথা বামপন্থী দলের ফান্ড কিন্তু বেশ জাঁকজমকপূর্ণ হয়ে উঠেছে। গত ১ জুলাই থেকে কৌটা নাড়িয়ে বিন্দু বিন্দু করে প্রায় সিন্দু গড়ে ফেলেছে বামেরা। কারণ তাদের মত সংগ্রহ অর্থের পরিমাণ প্রায় কোটি টাকার সমান।
আরও পড়ুন: ২০১৭ সালের প্রাথমিক টেট-এও প্রশ্ন ভুল! ৮ প্রশ্ন নিয়ে নালিশ শুনবে হাইকোর্ট
এই বিষয়ে হুগলি জেলার সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ জানান, এই বছরের জনসংযোগে সাধারণ মানুষের থেকে অভূতপূর্ব সারা মিলেছে। এই জনসংযোগ প্রমাণ করে দিচ্ছে বাংলায় আবারও লাল পতাকাই ফিরবে। তিনি আরও জানান, যেখানে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি চলে কর্পোরেটের টাকায়। সেখানে বামপন্থীরা কর্পোরেটের বিরোধী। বামপন্থী সংগঠনগুলি কোনদিনও কর্পোরেট টাকায় চলেনি। লাল পতাকার সংগঠন খেটে খাওয়া মানুষের সংগঠন। এই বছর যে পরিমাণ অর্থ তারা সংগ্রহ করেছে তাতে পরিষ্কার আগামী দিনে জনসংযোগ কৌটোর মতো ভোট বাক্সেও তাদের ফলাফল প্রকাশ পাবে। ---রাহী হালদার
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Cpim, Hooghly news