Veganism| Bangla News|| ভেগান শব্দটি পরিচিত? কী খান তাঁরা? শিলিগুড়ির 'এই' ভেগান রেস্তোরাঁয় বাড়ছে ভিড়
- Reported by:ANIRBAN ROY
- news18 bangla
- Published by:Shubhagata Dey
Last Updated:
Veganism: বিশ্বব্যাপী এখন ভিগান বা ভিগানিজম নতুন প্রজন্মের নতুন ট্রেন্ড। ১৯৪৪ সালে ডোনাল্ড ওয়াটসনের উদ্যোগে গড়ে ওঠে ভিগান সোসাইটি।
শিলিগুড়ি: আমিষ আর নিরামিষ নিয়ে দ্বন্দ্ব চিরকাল ধরেই রয়েছে। যাঁরা কেবল শাকসবজি খেয়ে জীবন যাপন করেন, তাঁদের বলা হয় ভেজিটেরিয়ান। কিন্তু সব ভেজিটেরিয়ান যে ভিগান বা ভেগান, সেটা বলা যাবে না।
‘ভিগান’ শব্দটির সঙ্গে এখনও অনেকেরই পরিচয় নেই। আমিষ, নিরামিষের দ্বন্দ্বে ‘ভিগান’-এর যোগ অন্য ভাবে হয়েছে। বিশ্বব্যাপী এখন ভিগান বা ভিগানিজম নতুন প্রজন্মের নতুন ট্রেন্ড। ১৯৪৪ সালে ডোনাল্ড ওয়াটসনের উদ্যোগে গড়ে ওঠে ভিগান সোসাইটি। সুস্থ সবল জীবন যাপন করতে ভিগান খাবারের দিকে ঝোঁক বহু মানুষের। তাই শিলিগুড়ি তথা উত্তর পূর্ব ভারতের একমাত্র রেস্টুরেন্ট ‘ভিগানেশন-এ ভিড় করছে বহু দেশী বিদেশী মানুষ।
advertisement
আরও পড়ুনঃ এই গরমে দিঘায় হল কী! দলে দলে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা, না গেলে আপনার বড় মিস
ভিগান ডায়েট প্রসঙ্গে রেস্টুরেন্টের কর্ণধারের ডিলান জানান, “ভিগানিজম এমন একটি জীবনধারা, যেখানে প্রাণী ও প্রাণী দেহ থেকে তৈরি সব খাবার ও ব্যবহার্য পণ্য বর্জন করা হয়। এককথায়, নিরামিষাশীরা যখন প্রাণিজাত সমস্ত খাবারের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলেন, তখন তাঁদের ভিগান বলে।” তিনি আরও বলেন, “মাছ-মাংস তো বটেই, ভিগানরা ডিম, দুধ আর দুধের তৈরি কোনও খাঁ না। সেই তালিকায় রয়েছে ছানা, দই, পনির, সন্দেশ, রসগোল্লাও। তবে মাছ মাংসর অল্টারনেটিভ হিসেবে নকল মাংস রয়েছে। যেটি সয়াবিন দিয়ে তৈরি। ভিগান খাবারের চাহিদা বাড়ায় বিভিন্ন সংস্থা এখন এগুলি তৈরি করছে।”
advertisement
advertisement
দিন দিন ভিগানরাও বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়েছেন। যথাক্রমে…
•হোল ফুড ভিগানঃ এঁরা ফলমূল, শাকসবজি, শস্য, বাদাম ও বীজ–জাতীয় খাবার খেয়ে থাকেন।
আরও পড়ুনঃ আকাশে জমছে কালো মেঘ! আজ স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজবে শুধুমাত্র ‘এই’ জেলাগুলি
•জাঙ্ক ফুড ভিগানঃ এঁরা প্রক্রিয়াজাত ভিগান খাবার খান। যেমন: ভিগান মাংস, ফ্রোজেন ডিনার, নন–ডেয়ারি আইসক্রিমের মতো ডেজার্ট ইত্যাদি।
advertisement
•‘র’ ফুড ভিগানঃ এই ব্যক্তিরা কেবল কাঁচা খাবার অথবা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নিচের তাপমাত্রায় রান্না করা খাবার খান।
ভিগানদের মতে, খাদ্য ও পণ্যের জন্য প্রাণী হত্যা করা অন্যায়। পশুসমাজের ওপর নির্মম অত্যাচার। এ সবের ঘোরতর বিরোধী ভিগানরা। এককথায় বলা যায়, সব ভিগান ভেজিটেরিয়ান হলেও, সব ভেজিটেরিয়ান ভিগান নন। ভিগানরা আরও স্বকীয়।
advertisement
এ ক্ষেত্রে অনেকের প্রশ্ন, ভিগানরা আমিষের ঘাটতি পূরণ করেন কী করে? পৃথিবীতে ভিগানদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তবে ভিগানরা প্রমাণ করছেন যে প্রাণিজ আমিষ ছাড়াও মানুষ ভালভাবেই বাঁচতে পারে। সেই সঙ্গে প্রাণী রক্ষা আন্দোলনটাও প্রাণ পায়। রেস্টুরেন্টে খেতে আসা এক ভিগান অ্যান্ড্রয়া রুবিন বলেন, “দীর্ঘ সাত-আট বছর ধরে আমি ভিগান। আমার মনে হয় এমন খাবার খেলে যথেষ্টই সুস্থ-সতেজ থাকা যায়।”
advertisement
অনির্বাণ রায়
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
Jun 01, 2023 7:16 PM IST








