মুজফফরপুর: ফুচকা আর দহিপুরি বা দইপুরির নাম শুনলেই জিভে জল চলে আসে। আট থেকে আশি - প্রায় সকলেই ফুচকার প্রেমে মত্ত! তাই আজ জনপ্রিয় এক ফুচকা স্টলের গল্প বলব। জিভে জল আনা লোভনীয় স্বাদের এই ফুচকা ও দইপুরির মজা নিতে গেলে যেতেই হবে মুজফফরপুরের আঘোরিয়া বাজার রোডের কাছে শ্যামসুন্দরের স্টলে।
দহিপুরি এবং ফুচকার সুনাম গোটা এলাকায় তো বটেই, সেই সঙ্গে ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশ জুড়ে। অবশ্যই সেটা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে। বিকেল ৪টে বাজতে না বাজতেই ভিড় করতে শুরু করেন ফুচকাপ্রেমীরা। শ্যামসুন্দরের গোলগাপ্পা ও দহিপুরির টানে রীতিমতো লাইন পড়ে যায়!
শ্যামসুন্দরের স্টলটি বিহারের মুজফফরপুরে হলেও তাঁর কিন্তু কলকাতা-যোগও রয়েছে। কীভাবে? আর কেমন করেই বা তিনি এই খ্যাতি পেলেন? নিজের মুখেই সেই গল্প শোনালেন শ্যামসুন্দর। জানালেন, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে এই স্টল চালাচ্ছেন তিনি। এমনকী এর আগে কলকাতাতেই ফুচকার ব্যবসা করেছেন। আর এখানেই তাঁর ফুচকার ব্যবসার হাতেখড়ি।
কলকাতা থেকেই ফুচকা বানানোর কায়দা শিখে ফিরে গিয়েছিলেন নিজের শহর মুজফফরপুরে। সেখানেই পাকাপাকি ভাবে শুরু করেছিলেন ব্যবসা। সকলেই তাঁর ফুচকা পছন্দ করতে থাকলে তিনি মেনু আরও বাড়িয়েছেন। মেনুতে যোগ করেছেন বাটাটাপুরি ও দহিপুরিও। এতেও ভাল সাড়া মেলে।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্ক মডেল অডিটোরিয়াম এখন বিহারে! বিশেষত্ব জানলে চমকে যাবেনকিন্তু কেন এত ভিড় তাঁর স্টলে? আসলে বিভিন্ন ফ্লেভারের ফুচকা পাওয়া যায় শ্যামসুন্দরের স্টলে। সেই সঙ্গে এক বিশেষ চাটনিও পরিবেশন করেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, আরও চমক রয়েছে। নিজের দোকানে শ্যামসুন্দর পরিবেশন করেন সুগার-ফ্রি ফুচকা। এই বিশেষত্ব রাখা হয়েছে মূলত ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যই। এই ধরনের রোগীরা গোলগাপ্পার আলুর পুরটা খেতে পারেন না। তাই তাঁদের জন্য রাখা হয়েছে মটর আর ছোলার পুরে ঠাসা গোলগাপ্পার বিশেষ বন্দোবস্ত।
আর ফুড ভ্লগারদের দৌলতে শ্যামসুন্দরের পানিপুরি সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। এছাড়াও যাঁরা শ্যামসুন্দরের স্টলের ফুচকা খেতে আসেন, তাঁরাও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি আপলোড করে থাকেন। শ্যামসুন্দরের বক্তব্য, “আমি কখনওই খাবারের গুণমানের সঙ্গে আপোস করি না।”
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।