শিলিগুড়ি: শুঁটকি প্রেমীদের জন্য সুখবর। এ বার শুঁটকি মাছের রেস্টুরেন্ট খুলল শিলিগুড়ির বাসিন্দা অপরাজিতা দত্ত। লকডাউনের সময় পেশা বদলেছে অনেকেই। তেমনই পেশা বদলে শুঁটকি মাছের ব্যবসা শুরু করেছেন দেশবন্ধু পাড়ার বাসিন্দা অপরাজিতা। অপরাজিতার কথায়, "বরাবরই আমার একটু অন্য ধরনের ব্যবসায় ঝোঁক ছিল। আগে বিউটিপার্লার ছিল। লকডাউনের সময় মাথায় আসে শুঁটকি মাছের ব্যবসার কথা। তারপরেই বাড়িতেই ক্লাউড কিচেন খুলে শুধু শুঁটকি মাছের ডেলিভারি দিতাম।" ব্যস তারপরেই কেল্লাফতে...!
অপরাজিতার শুঁটকি মাছের স্বাদ এত, যে ক্রেতারাই শুঁটকি মাছের রেস্টুরেন্ট খুলতে বাধ্য করেন। শুঁটকি মাছের নাম শুলেই জিভে জল চলে আসে অনেকের । শুঁটকি মাছ খেতে পছন্দ করেন বহু মানুষ। তাই বিভিন্ন ধরনের শুঁটকি বানিয়ে লোকের মন জয় করে নিয়েছেন অপরাজিতা।
আরও পড়ুনঃ জলপাইগুড়িতে 'অচেনা' ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশনের খোঁজ, গরমের ছুটিতে না গেলে বড় মিস
ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে শিলিগুড়ির কলেজ পাড়ায় খুলে ফেলেছেন শুঁটকি মাছের রেস্তোরাঁর নাম 'কিচেন শুঁটকি'। দূর দূর থেকে তাঁর শুঁটকি মাছের রেসিপি খেতে লোক আসছেন। ১২০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত দামের মধ্যে শুঁটকি মাছের রেসিপি মেলে তাঁর রেস্তোরাঁয়। মোট পাঁচ ধরনের শুঁটকি তাঁর রেস্টুরেন্টে পাওয়া যায়। লোটে শুঁটকি, বাংলাদেশের নোনা ইলিশ শুঁটকি, শিদল শুঁটকি, চিংড়ির শুঁটকি খেতে এতটাই স্বাদ যে না খেলে বোঝা যায় না।
শুঁটকি ক্রেতা কৌশিক পাল জানান, "আমার বন্ধু আমাকে প্রথম এই শুঁটকির সঙ্গে পরিচয় করায়। খেতে এতটাই স্বাদ যে আমি রীতিমতো এখন শুঁটকিপ্রেমী হয়ে পড়েছি। মাঝে মাঝেই এই দোকান থেকে শুঁটকি কিনে নিয়ে যাই এবং সপরিবারে উপভোগ করি।"
দোকানের মালিক অপরাজিতা দত্ত জানান, "লোকে আমার শুঁটকি মাছ এতটাই পছন্দ করেছে যে আমি দোকান খুলতে বাধ্য হই। অনেক অনেক জায়গা থেকে আমার এখানে অর্ডার আসে। এই দোকানটি খোলাতে এখানে এসেও ক্রেতারা শুঁটকি কিনে নিয়ে যায়।"
অনির্বাণ রায়
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Siliguri