কালিয়াগঞ্জ: সকাল, বিকেল, কিংবা সন্ধ্যা যে কোনওসময় বাঙালির হালকা নাস্তার তালিকায় প্রথমেই থাকে সিঙাড়া, সঙ্গে এক কাপ চা। আবহাওয়া যেমনই হোক না কেন সিঙাড়ার প্রতি ভালবাসা কম বেশি সকলেরই থাকে। বাঙালির ফাস্টফুডের তালিকায় প্রথমেই জ্বলজ্বল করে সিঙাড়ার নাম। আলু ও সবজির পুর দেওয়া এই সিঙাড়ার টেস্ট যেন সন্ধ্যের যে কোনও জলখাবারকেই হার মানাবে।
তবে আলুর পুর দেওয়া সিঙাড়াই আমরা প্রায় প্রতিদিনই খেয়ে থাকি। কিন্তু নারকেল কিংবা রসুনের পুর দেওয়া সিঙাড়া খেয়েছেন? উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের শান্তি কলোনির অশোকদার দোকানের বিখ্যাত রসুন ও নারকেলের সিঙাড়া তৈরির জন্য। আজ ২০ বছর ধরে কালিয়াগঞ্জের শান্তি কলোনির মহা শ্মশানের পাশে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের সিঙাড়া তৈরি করে অশোক চৌধুরি। প্রতিদিন প্রায় ৩-৪ রকম সিঙাড়া তৈরি করছেন শান্তি কলোনির বাসিন্দা ৫৭ বছরের অশোক চৌধুরি।
আরও পড়ুনঃ আজ ফের ঝড়-বৃষ্টির তাণ্ডব, কোন কোন জেলা তোলপাড় হবে? জানুন সর্বশেষ পূর্বাভাস
আরও পড়ুনঃ কলকাতায় এক বিয়ে ঘিরে তোলপাড়, মন্দিরে মালা বদল দু’জনের! পরিচয় জেনেই চমকাচ্ছে সকলে
সিঙাড়ার ঝুলিতে রয়েছে নারকেলের সিঙাড়া, রসুন সিঙাড়া, বাদাম সিঙাড়া এবং পনির সিঙাড়া। কাস্টমারের চাহিদা মতো অশোক বা নিমেষেই তৈরি করে ফেলেন বিভিন্ন ধরনের ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের এই সিঙাড়া। অশোক বলেন, “দোকানে ৩-৪ রকমের সিঙাড়া পাওয়া যায়। তার মধ্যে সব থেকে বেশি বিক্রি রসুন ও নিরামিষ নারকেল সিঙাড়া।” তিনি আরও বলেন, “দীর্ঘ ২০ বছর ধরে কালিয়াগঞ্জের শান্তি কলোনিতে সিঙাড়া বিক্রি করছেন। ৬ টাকা থেকে শুরু করে ১০ টাকা পর্যন্ত মূল্যের বিভিন্ন ধরনের সিঙাড়া দোকানে পাওয়া যায়।”
স্থানীয়রা বলেন, তাঁর দোকানের সিঙাড়া কলকাতা, মালদহ, শিলিগুড়ি থেকে মানুষ ঘুরতে গেলে বাড়ির জন্য কিনে ফেরেন। পুরো বাড়ির তৈরি হাতে বাটা মসলা দিয়েই তৈরি করা হয় এই সিঙাড়া। তাঁর ব্যবসায় সমানভাবে সাহায্য করেন স্ত্রী রিনা চৌধুরি। রিনা বলেন, “স্বামীকে বহু বছর ধরে সিঙাড়া তৈরি করতে সহযোগিতা করি। দোকানের এই সিঙাড়ার এতটাই চাহিদা যে বাইরে থেকেও মানুষ আমাদের দোকানে খেতে আসেন। তাঁদের কাইয়ে আমাদেরও ভাল লাগে।”
পিয়া গুপ্তা
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।