মেয়ে মীরার বিয়ে নিয়ে সারা জীবন অবসাদে ভুগেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর !
- Published by:Piya Banerjee
- news18 bangla
Last Updated:
রবি ঠাকুর ভয় পেতেন মৃত্যুকে। অকালপ্রয়াণকে। একবার মৃত্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন "শান্তিপূর্ণ মৃত্যুকে বিন্দুমাত্র ভয় করিনি। ভয় করি অপঘাত মৃত্যুকে।" সেই মানুষটাই চেয়েছিলেন নিজের মেয়ের অপঘাতে মৃত্যু। কারণ মেয়ের কষ্ট তিনি সহ্য করতে পারছিলেন না।
#কলকাতা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাঙালির মনে প্রাণে এই একটাই নাম। সাহিত্য মানেই তো কবিগুরু। কবিতা মানেই তো কবিগুরু। তাঁকে বাদ দিয়ে আমাদের জীবনে বোধহয় একটা মুহূর্তও নেই। তিনি তাঁর কলমে লিখে গিয়েছেন সর্বকালের কথা। ওই সময়ে বসে তিনি বলে গিয়েছেন আজকের কথা। রবি ঠাকুর যেন কখনও অপ্রাসঙ্গিক নন। সব সময় তিনি নক্ষত্রের মতো জ্বলজ্বল করেন। কিন্তু এই মানুষটা যিনি বলে গিয়েছেন হাজার মানুষের মনের সবচেয়ে কাছের কথাগুলি, তিনিও কিন্তু ভুগতেন মনকষ্টে। যন্ত্রণা তাঁকে সব সময় দহন করত। আর সেই কারণেই রবি ঠাকুর সবার মধ্যে থেকেও ছিলেন খুবই একা। আর তাই হয়তো তাঁর কলমে উঠে এসেছিল, ' প্রেমের আনন্দ থাকে স্বল্পক্ষণ কিন্তু বেদনা থাকে সারাটি জীবন'-এর মতো লেখা। কোথাও তাঁকে প্রতিনিয়ত দগ্ধ করত কোনও অজানা বেদনা। তা কবি বুঝতে পারতেন মন থেকে। তাই অমলের একাকিত্ব আজও আমাদের কাঁদায়।
রবি ঠাকুর ভয় পেতেন মৃত্যুকে। অকালপ্রয়াণকে। একবার মৃত্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন "শান্তিপূর্ণ মৃত্যুকে বিন্দুমাত্র ভয় করিনি। ভয় করি অপঘাত মৃত্যুকে।" সেই মানুষটাই চেয়েছিলেন নিজের মেয়ের অপঘাতে মৃত্যু। কারণ মেয়ের কষ্ট তিনি সহ্য করতে পারছিলেন না। চেয়েছিলেন মেয়ে তাঁর জীবন যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাক।
advertisement
advertisement
রবীন্দ্রনাথ তাঁর ছোট মেয়ে মীরার বিয়ে দিয়েছিলেন নিজের পছন্দের পাত্র নগেন্দ্রনাথের সঙ্গে। কিন্তু এই বিয়েতে সম্মতি ছিল না মীরার। তবে সুন্দর ভবিষ্যতের আশায় এই বিয়ে দিয়েছিলেন রবি ঠাকুর। তবে তাঁর আশা পূর্ন্য হয়নি। নগেন ছিলেন স্বেচ্ছাচারী। বর্ব্বরতা ছিল নগেনের মজ্জায় মজ্জায়। এ কথা জানতেন না রবীন্দ্রনাথ । আর এই স্বামীকে কোনও দিনও ভালবাসতে পারেননি মীরা। বাবা হিসেবে মেয়ের এই জীবন দেখে অপরাধে ভুগতেন তিনি। রবীন্দ্রনাথ সারা জীবন ভেবে গিয়েছেন তাঁর চাপিয়ে দেওয়া বিয়ের জন্যই তাঁর মেয়ের জীবন নষ্ট হয়েছে। আর এই উপলব্ধি থেকেই তিনি লিখেছেন,"বিয়ের রাত্রে মীরা যখন নাবার ঘরে ঢুকছিল তখন একটা গোখরো সাপ ফস করে ফনা ধরে উঠেছিল— আজ আমার মনে হয় সে সাপ যদি তখনই ওকে কাটত তাহলে ও পরিত্রাণ পেত।" মেয়ের মৃত্যু কামনাও করে ফেলেছিলেন তিনি। তবে ওপর থেকে দেখলে মনে হয় তিনি মীরার মৃত্যু চাইছেন। আসলে তিনি চাইতেন মীরা মুক্তি পাক তাঁর জীবন থেকে। বাবা হয়ে এই ভাবনাও যে কতটা কষ্টের তা শুধু তিনিই জানতেন। রবি ঠাকুরের জীবন তাই মোটেই ছিল না বিলাসবহুল। প্রতি মুহূর্তে তাঁর মনে এসে দানা বাঁধত বেদনা, যন্ত্রণা।
Location :
First Published :
May 07, 2021 6:56 PM IST