১৮৮৬ সাল। আমেরিকার শিকাগো শহরের হে মার্কেটের সামনে শ্রমিকদের তীব্র আন্দোলন শুরু হয়েছে দৈনিক আটঘণ্টা কাজের দাবিতে। অধিকারের দাবিতে লড়াইয়ের স্বর চড়িয়েছিলেন শ্রমিকেরা। সেই দিনটাই স্বরণীয় হয়ে আছে বিশ্বের মননে। যদিও সেই আন্দোলন হয়েছিল ৪ মে। তবুও আর সারা পৃথিবীতে শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে ১ মে হয়ে আছে এক লাল অক্ষরের দিন। সেই শ্রমিকদের আন্দোলনের প্রতীক হিসাবে।
কী হয়েছিল সেদিন হে মার্কেটের প্রতিবাদে? কেউ বলে সেদিন শ্রমিকরা প্রতিবাদ করছিলেন একদিকে, তাঁদের ঘিরে ছিল পুলিশ। সেই সময় অজ্ঞাতপরিচয় একজন পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে। গোলমাল বাঁধলে পুলিশ গুলি চালায়। মৃত্যু হয় কয়েকজনের। শ্রমিকদের আন্দোলনে গুলি চালনার সেই ঘটনায় তোলপাড় হয়ে আমেরিকার রাজনীতি। তারপর থেকেই এই দিনটি শ্রমিক শহিদ দিবস হিসাবে অধিকারের লড়াইয়ে এক অন্য তাৎপর্য বহন করতে শুরু করে। ১৯০৪ সালে আমস্টারডাম শহরে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয় সোস্যালিস্ট ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসে। সেখানে বলা হয়, এই দিনটিতে সারা পৃথিবীর সমস্ত বাম, সমাজতান্ত্রিক দলগুলি শ্রমিকদের আটঘণ্টা কাজের দাবিতে ও শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজে মিছিল, আন্দোলন করবে। বিশ্বজুড়ে শ্রমিকেরা এই দিনটিতে কাজ করবেন না।
পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশ এই ১ মে দিনটিকে শ্রম দিবস বা শ্রমিক দিবস হিসাবে পালন করে থাকেন। এই দিনটি শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের দিনের প্রতীক হিসাবে সারা পৃথিবীতেই আজ চিহ্নিত হয়ে আছে। যদিও আমেরিকা, কানাডার মতো বেশ কয়েকটি দেশে সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সোমবার শ্রম দিবস পালিত হয়, কিন্তু পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশের শ্রমিকদের কাছে ১ মে দিনটিই শ্রম দিবস হিসাবে গৃহীত হয়ে আসছে যুগের পর যুগ ধরে।
ভারতে প্রথম শ্রমিক দিবাস পালিত হয় ১৯২৩ সালে। চেন্নাইয়ে হিন্দুস্থান লেবার কিষাণ পার্টি পালন করে শ্রম দিবস। তারপর থেকে ভারতেও বিভিন্ন ছোট বড় কারখানায় এই দিনটি শ্রম দিবস বা শ্রমিক দিবস হিসাবে পালিত হয়ে আসছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Labourday, Mayday, Workersday