‘গতবারের তুলনায় এবারে বিক্রির পরিমাণ ১–২ শতাংশ’, শুনশান কুমোরটুলিতে অচেনা এবারের পয়লা বৈশাখ
- Published by:Uddalak Bhattacharya
- news18 bangla
Last Updated:
গতবছর ১০০ বিক্রি হলে এবছর বিক্রি হচ্ছে এক। তাই প্রবল দুরবস্থায় পড়েছেন শিল্পীরা।
#কলকাতা: লকডাউনের ঢেউ এসে লেগেছে কুমোরটুলিতেও। করোনা ভাইরাস আতঙ্কে এই বছর পয়সা বৈশাখের পুজো যেখানে হবে, সেখানেও নমো নমো করে সারবেন উদ্যোগতারা। তাই আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কুমোরটুলির শিল্পীরা। তাঁদের দোকানপাট বন্ধ। প্রায় সমস্ত কারিগররাই দেশে ফিরে গিয়েছেন। এখন খাঁ খাঁ করছে কলকাতার বিখ্যাত কুমোরটুলি।
বিখ্যাত শিল্পী মোহনবাঁশি রুদ্রপাল জানালেন, ‘দোকান খোলা নেই। খদ্দেরও নেই। প্রতিবছর যা বিক্রি হয়, তার তুলনায় এই বছর বিক্রির পরিমাণ ১–২ শতাংশ। মানে গতবছর ১০০ বিক্রি হলে এবছর বিক্রি হচ্ছে এক। তাই প্রবল দুরবস্থায় পড়েছেন শিল্পীরা। দু–একটা দোকান সামান্য খোলা থাকছে কিছু সময়। কোনও কর্মচারী নেই। তাই দোকানের শিল্পীরাই যা কাজ আছে, সেটা শেষ মুহূর্তে সারছেন। তবে কাজ একেবারেই নেই বললে চলে। এর ফলে কর্মীদের আয়ের পথ তো বন্ধ হয়েছেই, বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন শিল্পীরাও। তাঁদের ব্যবসায়ীক কোনও লেনদেন নেই।’
advertisement
দুর্গাপুজোয় এই কুমারটুলিতে তিল ধারণের জায়গা থাকে না। কিন্তু করোনার কারণে এই আর্থিক ক্ষতিতে কিছুটা প্রলেপ দিতে পারবে দুর্গাপুজো? শিল্পী জানালেন, ‘এখনও সেটা বলা মুশকিল। আমরা প্রতিমা গড়ার কাজ করে ফেলব। হাতে কিছুটা সময় আছে। কিন্তু খদ্দেরের দিক থেকে যদি ভাঁটার টান থাকে, তাহলে কী হবে জানি না।’
advertisement
তবে আর্থিক ক্ষতি হলেও কুমোরটুলির শিল্পীরা কিন্তু সরকারি নিয়ম মানছেন। তাঁরা কেউই এখন ঘর থেকে বেরোচ্ছেন না। লকডাউনের নিয়ম মানছেন অক্ষরে অক্ষরে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় তাঁরা বদ্ধপরিকর। আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে হোক, কিন্তু মানুষের প্রাণ বাঁচাতে এই নিয়ম যে মানতেই হবে, তা বুঝতে পারছেন তাঁরা।
view commentsLocation :
First Published :
April 13, 2020 5:00 PM IST

