সুবর্ণরেখা নদীকে তুষ্ট করতে দশভূজা রূপে কচুগাছ পুজো হয় ঝাড়গ্রামে
Last Updated:
নদীকে শান্ত রাখতে লৌকিক উপাচার। গ্রামের মহিলারাই পালন করেন ঝিঙে ষষ্ঠী।
#ঝাড়গ্রাম: মায়ের স্নেহ সবসময় বলে, আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে। প্রকৃতিও ফুলে-ফলে-জলে ধরে রাখে জীবন। দেবী আসলে প্রকৃতিই। শক্তিরূপেণ। অন্যায়ের শাসনে কখনও ভয়ংকর। কখনও মমতাময়ী। সুবর্ণরেখা নদীর পাড়ে প্রকৃতি পুজোর উপাচার। ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে মহিলারাই করেন ঝিঙে ষষ্ঠী। পুরুষদের সেখানে আসতে মানা। নদী তোমার শান্ত রূপ, নদী তুমি ভীষণ চুপ... সুবর্ণরেখার পাড়ে ঝাড়গ্রাম। নিবিড় সবুজ প্রকৃতি।
জনশ্রুতি বলে, ১১২৫ বঙ্গাব্দে ঝাড়গ্রাম দেখেছিল সুবর্ণরেখার রাগ। বর্ষায় ফুঁসে উঠে গিলে খেয়েছিল জমি-জিরেত, ফসল, সংসার, সন্তান। ঝিঙে গাছের শক্ত লতা আঁকড়ে প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন বানভাসিরা। এরপরই গোপীবল্লভপুরে ঝিঙে ষষ্ঠীর প্রচলন। নদীকে শান্ত রাখতে লৌকিক উপাচার। গ্রামের মহিলারাই পালন করেন ঝিঙে ষষ্ঠী। অনেকে বলেন নদী ষষ্ঠী। উদ্দেশ্য একটাই শান্ত রাখা নদীকে। মহিলারাই পুজো করেন। পুরোহিতও মহিলা। কোনও পুরুষ এখানে ঢুকতে পারেন না। দুর্গা পুজোর একমাস আগে প্রকৃতির উপাসনা করেন তাঁরা। আশ্বিনের আগে ভাদ্র মাসে হয় ঝিঙে ষষ্ঠী। দশভূজা রূপে পুজো হয় কচুগাছ। গোটা ঝিঙে, ঢ্যাঁড়স, শসা ছাড়াও বিভিন্ন সবজি ও ফল দেওয়া হয়। পুজোর পর সুবর্ণরেখার জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয় ঝিঙে।
view commentsLocation :
First Published :
September 13, 2019 8:10 PM IST

