#নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের (Nirmala Sitharaman) ভেহিকেল স্ক্র্যাপিং পলিসি নিয়ে ঘোষণার পর থেকেই নানা স্তরে একাধিক সংশয় তৈরি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে যে ১৫ বছর বা তার উপরে গাড়ি থাকলে দূষণ রোধে তা স্ক্র্যাপ করা হবে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে সবার প্রথমে একটি সরকারি সংস্থা গাড়িটি পরীক্ষা করে দেখবে। বিশদে দেখা হবে এর প্রতিটি পার্টস। তার পরে সরকারি স্ক্র্যাপ ডিলার এই প্রসঙ্গে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
স্ক্র্যাপিং মানে কোনও কিছু চেঁছে ফেলা বোঝায়। অর্থাৎ এক্ষেত্রে পুরনো গাড়ির খোলনলচে বদলে নতুন পার্টস বসিয়ে দেওয়া হবে। গাড়িটি নতুন করে ব্যবহারের যোগ্য করে তোলা হবে। তবে এক্ষেত্রে স্ক্র্যাপ ডিলারের কাছ থেকে চ্যাসি নম্বরটি নিয়ে রাখতে হবে।
স্ক্র্যাপ ডিলার গাড়ির ওজন এবং পার্টস-সহ যে দাম, সেই অনুযায়ী স্ক্র্যাপ করে। সরিয়ে নেওয়া অংশ সে আলাদা ভাবে বিক্রি করতে পারে। এক্ষেত্রে গাড়িতে সিএনজি লাগানো থাকলে তা আপনাআপনি নষ্ট হয়ে যায়।
তবে স্ক্র্যাপ ডিলার টাকা নিয়েও কাজ সম্পন্ন করতে না-ও পারে, ওই গাড়ি অবৈধ কাজে খাটাতে পারে। তাই কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে-
১. মূল আরসি নিজের কাছে রাখাই বাঞ্ছনীয় হবে।
২. দরকারে গাড়িটি যে স্ক্র্যাপ করা হচ্ছে, তার ছবি নিয়ে রাখা যেতে পারে।
৩. স্ক্র্যাপ ডিলার গাড়ির খুচরো পার্টস আলাদা ভাবে বিক্রি করে মুনাফা তুলবে, তাই খরচের বিষয়টিতে সতর্ক থাকতে হবে।
গাড়ি স্ক্র্যাপ করানোর সময়ে তা বিমা সংস্থাকেও জানাতে হবে। কেন না, গাড়ি একবার স্ক্র্যাপ করানো হয়ে গেলে তার রেজিস্ট্রেশন নম্বরটি অন্য গাড়ির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। এটি আপনা থেকেই হয়ে যায়, এর জন্য আলাদা করে গাড়ির মালিকের কোনও পদক্ষেপ করার নেই।
বিষয়টি নিয়ে এখনও নানা স্তরে আলোচনা চলছে। এর জন্য গাড়ির মালিকদের কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া যায় কি না, সেই বিষয়টিও বিবেচনা করা দেখা হচ্ছে। তবে, পাবলিক ট্রান্সপোর্টের ক্ষেত্রে জরিমানার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে যাতে দূষণ রোধ করা যায়। এক্ষেত্রে একটি গ্রিন ট্যাক্স বসানো হবে। তবে স্ক্র্যাপিংয়ের পরে গাড়ি যদি পথে নামে, তবে এই ট্যাক্সের পরিমাণ কম হবে বলে জানা যাচ্ছে।